কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী

কবিতার সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবাদ করার জন্য, ফুলকুঁড়ি আসরে

জুনাইদ উদ্দিন
প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮ | ৫৭২

ফুলকুঁড়িতে লিখি, লেখালেখি শিখি " শ্লোগানে দিনব্যাপী শিশু - কিশোর লেখক কর্মশালা ও পাঠক সমাবেশ ৩০ মার্চ শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

ফুলকুঁড়ির সদস্য আবুল আলা এর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মহাকাল চিন্তাসভার সভাপতি মাস্টার আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় কবিতা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া আইডিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল করিম, মহাকাল চিন্তাসভার সিনিয়র সহ সভাপতি কবি নাছির উদ্দিন চকোরী, শহীদ জিয়া বি.এম. ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক কবি মুমিনুল হক, কবি ও সমালোচক ইবনে আলতাফ, মহাকাল চিন্তাসভার সম্পাদক কবি ও প্রাবন্ধিক হাসান মুরাদ ছিদ্দিকী।

 
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন, ফুলকুঁড়ি আসর কক্সবাজার জেলা শাখার উপদেষ্টা মাস্টার রেজাউল করিম আজাদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আমাদের নতুন সময় এর চকরিয়া - পেকুয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক জুনাইদ উদ্দিন, সাংবাদিক শাহাজালাল সাহেদ, সাংবাদিক শাহরিয়ার রিয়াদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলা ভাষার প্রথম আধুনিক কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক বিপ্লবী। বিদ্রোহ ছিল তাঁর রক্তে-মাংসে, হৃদয়ে ও সত্তায়। মেঘনাদবধ কাব্যের মধ্যেই বিদ্রোহের গোপন আগুন জ্বালিয়ে দেন তিনি। কিন্তু বাংলার প্রকৃত বিদ্রোহী হলেন কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)।

নজরুলের বিপ্লবী কবিতাগুলো এক সঙ্গে ইংরেজি ভাষায় অনূদিত না হওয়ায় আজো বিশ্ববাসীর অজানাই রয়ে গেছে যে, কতটা তীব্র ছিলো নজরুলের বিদ্রোহের আগুন। ইংরেজ কবি পি বি শেলি (১৭৯২-১৮২২) ও জর্জ গর্ডন বায়রন (১৭৮৮-১৮২৪) বিদ্রোহী কবি বটে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে তাঁরা কেউ-ই নজরুলের চেয়ে বড় কবি ছিলেন না।

এঁদের বিদ্রোহ ছিলো বস্তুত প্রতীকী, শৈল্পিক নৈপুণ্য ও ভাষার আলঙ্কারিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ; ফলে তা বুদ্ধিজীবী-পাঠকশ্রেণি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে, ব্যাপক সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছোতে পারেনি কখনো। পক্ষান্তরে নজরুলের বিদ্রোহ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, খরস্রোতা নদীর মতো বেগবান,ভাষা খবুই সাধারণ, স্বল্পশিক্ষিতেরও বোধগম্য, চিত্রকল্প এতই পরিচিত যে, নাটকের দৃশ্যের মতো যে কাউকে মোহাবিষ্ট করে রাখে

ফুলকুঁড়ি আসরে সকাল ১১ টায় সকল সদস্যদের জন্য ছিল হাতে কলমে শিখি (স্বর, মাত্রা, পর্ব, অতিপর্ব উপপর্ব অন্তমিল, ছন্দে) নিয়ে। এর পর সদস্যদের মাঝে কবিতা লিখনী তে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, ফুলকুঁড়ি আসর কক্সবাজার জেলা শাখার পরিচালক কবি সাদ্দাম হোসেন।