জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সেচ্ছাসেবীদর আপ্যায়ন ও সম্মানীর টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, রোববার, ১৫ জুলাই ২০১৮ | ৪৪৬

বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনায়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন করে থাকে।

শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমানো এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের সফলতার জন্য সারা দেশে প্রতিটি উপজেলার ওয়ার্ড পর্যায়ে একাধীক কেন্দ্রে সেচ্ছাসেবীগণ দায়িত্ব পলন করে থাকেন।

সেচ্ছাসেবীদের এক দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণের আপ্যায়ন ও ক্যাম্পেইনের দিনের জন্য সম্মানী হিসেবে সামান্য বরাদ্ধ থাকে তা সঠিকভাবে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করতে পারেন নি সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের জাতীয় ষ্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৪জুলাই সারা দেশে একযোগে ভিটামিন ‘এ’ ক্যপসুল খাওয়ানো হবে। সূত্রে জানা যায়, সেচ্ছাসেবীদের এক দিনের প্রশিক্ষণের আপ্যায়নে আশি টাকা ও ক্যাম্পেইনের দিনে সম্মানী হিসেবে দুই’শ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও তা না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

আপ্যায়নে একটি করে নিমকি, মিষ্ট, কেক ও আপেল দেওয়া হয়েছে তাতেকরে সর্বোচ্চ বিশ থেকে পঁচিশ টাকার নাস্তার মূল্য হবে বলে দাবি করেন সেচ্ছাসেবীগণ। প্রতিজন সেচ্ছাসেবীদের জন্য ২’শ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও গত বছর উপজেলার মোট ১২৮টি কেন্দ্রে ২’শ ৫৬জনকে ১’শ করে টাকা দেওয়া হয়। এবছর ১২১টি কেন্দ্রে সেচ্ছাসেবী রয়েছে ২৪২জন।

সেচ্ছাসেবীদেরকে টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে স্বাস্থ্য সহকারী ফজলুর রহমান দাবি করেন, ‘টাকা কম দেওয়া হয় এ কথা ঠিক। কারণ টাকাগুলো পরে আসে তাই আমরা কাউকে এক’শ কাউকে দেড়’শ এভাবেই দিয়েছি। আর আজকের নাস্তা স্যারদের দায়িত্বে পাঠিয়েছে। কতবরাদ্দ তা আমার জানা নেই। এখানে আমাদের কিছু করারও নেই।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) সঞ্জিব কুমার আচার্য্য বলেন, সেচ্ছাসেবীদের একদিনের প্রশিক্ষণে আপ্যায়ন করার কথা, নগদ টাকার বিষয় নেই।’ তবে প্রতিজনের জন্য পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা আপ্যায়নের বরাদ্ধ থাকতে পারে বলে অগোছালো তথ্য দেন তিনি।

উপজেলার নূরপুর মালঞ্চি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রশিক্ষণ নিতে আশা সেচ্ছাসেবী মনোয়ারা বেগমের দাবি, ‘গত বছর আমাদেরকে এক’শ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আবার আজকে ২০/২৫টাকার নাস্তা দিয়েছে।’ অফিসারেরা সরকারী বেতন ভুক্ত হয়েও সেচ্ছাসেবীদের টাকা আত্মসাত করেণ কেন? এমনিভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বরাদ্ধকৃত অর্থগুলো কার্যক্রম বাস্তবায়নের অনেক পরে উঠাতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন খরচ আছে, তবে এবার বরাদ্ধের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’