ভূঞাপুরে বিদ্যালয়ের

সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতায় বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা

ভূঞাপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭ | ৪০৩

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু সুফিয়ান আল মাসুদের স্বেচ্ছাচারিতায় গত দুই মাস যাবৎ বেতন উত্তোলণ করতে পারছে না শিক্ষক/কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তারা।

জানা যায়, উপজেলার নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক লাঞ্চিত হওয়ার পরই গত দুই মাস যাবৎ বেতন উত্তোলণ করতে পারছে না বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া নিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক একেএম ইকবালকে লাঞ্চিত করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান আল মাসুদ।

এঘটনায় শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন। প্রেরিত প্রতিবেদনে সভাপতি কর্তৃক প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত ঘটনার জন্য সভাপতি আবু সুফিয়ান আল মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা বোর্ডে সুপারিশ করা হয়।

এরপর থেকেই সভাপতি বেতন বিলে স্বাক্ষর না করার কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছে না।
নিকরাইল বেগম মমতাজ ফকির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ইকবাল জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে গত দুই মাস যাবৎ ব্যাংক থেকে বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না।

পূর্বেও তিনি বিদ্যালয়ে এসে আমাকে লাঞ্চিত করেছেন। শিক্ষকরা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তাদের ও আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

এবিষয়ে নিকরাইল বেগম মমতাজ ফকির উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান আল মাসুদ জানান, বিদ্যালয়ের সমস্যা থাকলে শিক্ষকরা আমার কাছে আসবে।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের পিয়ন দিয়ে সংবাদ দেয়ার পরও প্রধান শিক্ষক আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। এখন তারা যদি না আসেন তাহলে তো সমাধান হবে না।

টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিদ্যালয় সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে সমন্বয় করে দেয়া হয়েছিল।

বেতন না পাওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছি। খুব দ্রুতই শিক্ষক ও কর্মচারীরা যাতে বেতন উত্তোলণ করতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।