মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, শনিবার, ৯ মে ২০২০ | ২৯৩

টাঙ্গাইলের সখীরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল কাদের মিয়ার উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

আজ শনিবার দুপুরে সখীপুর পৌরসভা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ। এ সময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার উপর বর্বরোচিত হামলার মূল আসামিদের অভিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

তিনি ভবিষ্যতে এরকমভাবে অন্য কোন কোনো মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনা যেন না ঘটে এবং ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এমও গণি, আমজাদ বিএসসি হাতিবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, সখীপুর প্রেসক্লাব’র সভাপতি শাকিল আনোয়ার ,সাধারণ সম্পাদক এনামুলহক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি হারুন আজাদ, সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান আজাদ, হামলার শিকার যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত সোমরার ৩ মে বিকেলে প্রতিবেশী আবদুর রাজ্জাক তার লোকজন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের স্ত্রী রহিমা পারভীনকে মারধর করে। পরে ওইদিন রাতেই হামলাকারী আবদুর রাজ্জাকসহ সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের। মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আবদুর রাজ্জাক ও তার দলবল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ৫মে বিকেলে ওই মামলার বাদী যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবদুল কাদেরের উপর হামলা করে। এতে তাঁর দু হাত ও পাজরের হাড় ভেঙে যায়।

এসময় বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। পরে আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই আহত আবদুল কাদেরের ছেলে কামরুল হাসান বাদী হয়ে আবদুর রাজ্জাকসহ ১০ জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। পরে ৬ মে সকালে পুলিশ আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী মোমনাবেগমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর পরপরই তাদের জামিন দেওয়া হয়।