চকরিয়া পূর্ব বড় ভেওলা জি.এন.এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন

এম.জুনাইদ উদ্দিন, চকরিয়া কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮ | ৫৭৩
পূর্ব বড় ভেওলা জি.এন.এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
 
এতে বঙ্গবন্ধুর আত্মার ও স্বপরিবারে নিহতদের শান্তি কামনায় এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন  পূর্ব বড় ভেওলা জি.এন.এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মাওলানা মোজাম্মেলুল হক।  পূর্ব বড় ভেওলা জি.এন.এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আইয়ুব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন সিকদার।
 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বড় ভেওলা জি.এন.এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু কালাম আবু, পূর্ব বড় ভেওলা জি.এন.এ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান নাছির উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক বাবু নারায়ন চৌধুরী, সিনিয়র শিক্ষক জয়নাল আবেদিন, সিনিয়র শিক্ষক আমিনুল হক, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ইউনুছ, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন, সহকারী শিক্ষক মোঃ মিজবাহ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষিকা মোশরফা বেগম, সহকারী শিক্ষিকা কাউছার ইয়াসমিন, সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা বেগম, সহকারী শিক্ষক জুনাইদ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক আলাউদ্দিন, সহকারী শিক্ষক মোঃ মুহিব্বুল্লাহ।
 
অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস আজ। ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী।
 
১৯৭৫-এর এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমন, ঘৃণ্য ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন প্রাণ হারান তার প্রিয় সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল।
 
ইতিহাসের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সেদিন আরো প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। এ কারণে আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়াজুল জন্নাত তাানিম।