ঈদের আগের দিন ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হিরো আলম, ওঠেনি খরচের টাকা

স্টার্ফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ | ৮৯৮

রাজধানীর গাবতলীর হাটে ছয়দিন অপেক্ষার পর ঈদের আগের দিন ৪ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ৩১ মণ ওজনের ষাঁড় হিরো আলম। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগমের খামারের গরু এটি। ২০ জুলাই পুরান ঢাকার একটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ষাঁড়টিকে কেনেন। তবে এর আগে সাড়ে ৮ ফিট লম্বা ও ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার চার বছর বয়সী ওই ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।

খামারি জয়নব বেগম বলেন, হিরো আলমকে গাবতলীর হাটে উঠানো হয়। হাটে ছয়দিন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। কেউ কাঙ্খিত দাম বলছিল না। ছয়দিন পর পুরান ঢাকার একটি এতিমখানার কর্তৃপক্ষের কাছে ষাঁড়টিকে চার লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, দুই লাখ ৭৬ হাজার টাকায় কেনা ষাঁড়টিকে দীর্ঘদিন লালন-পালন করতে তার সবমিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমরা ষাঁড়টি বিক্রি করে কাঙ্খিত দাম পাইনি। আমার প্রায় এক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।

জয়নব বেগমের স্বামী প্রবাসী কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের খামারের তিনটি ষাঁড় গাবতলীর হাটে নেয়া হয়েছিল। হাটে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ভিটি ভাড়া করা হয়। হিরো আলম নামের ষাঁড়টির দাম আমরা ১২ লাখ টাকা চাচ্ছিলাম। কিন্তু বড় গরুর ক্রেতাই পাচ্ছিলাম না। বাধ্য হয়ে ষাঁড়টি চার লাখ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। ষাঁড়টির কাঙ্খিত দাম পাইনি। তবে বাকি দুইটি ছোট গরুর দাম ঠিক পেয়েছি। 

তিনি আরো বলেন,ভিটি ভাড়া ৪৫ হাজারসহ হাটে আমার মোট ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাটের ভিটি ভাড়া একটু কমানো উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল আযহার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু প্রস্তুত করেন জয়নব বেগম। তিনি গত বছরও ৩৫ মণ ওজনের সোনা বাবু নামের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছিলেন। বিক্রি হওয়া ষাঁড়টির নাম ছিল ‘সোনা বাবু’। সেটির ওজন ছিল প্রায় ৩৫ মণ।