হাতি দিয়ে জোর করে তুলছে টাকা
পশু পাখি মানুষ শখে পোষে কেউবা এই প্রাণী শিকার করে বিক্রি করে সংসার চালায়। আবার কিছু ব্যক্তি সেই বন্য পশু হাতিকে বস করে করছে চাঁদাবাজী।
রংপুরের বিভিন্ন রাস্তা- ঘাটে, হাট বাজারে আহড়ী, গাড়ী চালক ও ব্যবসায়ীদের হাতী দিয়ে ভয় দেখি জোর করে টাকা নিচ্ছে হাতী সওয়ারা। খেলা দেখার নামে হাতি দিয়ে দোকানে দোকানে তুলছে টাকা।
পথচারি রেজোয়ান বলেন, পথের মধ্যে যখন হাতী বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন খুব সমস্যা হয়। দেরি হওয়ার কারণে সময়মত অফিসে যেতে পারি না। বসদের বকাঝকা খেতে হয়। আবার খুচড়া না থাকায় সেই সময় বিভ্রান্তীতে পড়তে।
তবে তিনি আরো জানা যে, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা যদি তাদের দিকে ব্যবস্থাগ্রহণ সহ সুদৃষ্টি দেন তাহলে আমারা পথ যাত্রীরা রক্ষা পেতাম ।
দোকান ব্যবসায়ীরা বলেন, আমারা এক প্রকার ভয় ভীতি থেকেই টাকা দিতে বাধ্য হই। যখন হাতি নিয়ে হাতির সওয়ার আমাদের দোকানে সামনে আসে হাতি তার শুর নড়াচড়া করে তখন ভয় পাই কখন দোকান ভাঙ্গচুর করে তাই টাকা বের করে দিতে আমরা একপ্রকার বাধ্য হই। তারা আরো বলেন, পাঁচ টাকা দিলে নেয় না। হাতি সওয়ার দাবী করে আামাদের কাছ থেকে দশ টাকা বা তার অধিক টাকা নেয়।
হাতী সওয়ার বলেন, আমারা এখন তার সার্কেস দেখাতে পাইনা। কারণ এখন ধীরে ধীরে সার্কেস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে হাতির খাবার জোগাড় করা সহ সংসার চালার জন্য আমাদের এই ভাবে দোকানে দোকানে গিয়ে টাকা তুলতে হয়। নিজেদেও খারাপ লাগে কিন্তু কি করব বাঁচতো হবে তাই এই কাজ করতে হয়।
এই প্রাণী বা হাতি দিয়ে চাঁদাবাজী বন্ধে সরকারের, প্রসাশন ও সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ব্যবসায়ী সহ সচেতন ব্যক্তিরা।
