আমের মুকুল কাল- বৈশাখের তান্ডবে লন্ডভন্ড

এম,জুনাইদ উদ্দিন,চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, শনিবার, ২ মার্চ ২০১৯ | ৬৫৩

ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।প্রকৃতির ঘৃর্ণায়নে আবারো ফিরে এলো ফালগুনের সাজ ছোয়াঁ।এতে পলাশ-শিমুলের রাঙা ফুলের মেলা বয়ছে পল্লী-গ্রামজুড়ে।সে সাথে শীতের কাতরতা কাটিয়ে,কোকিলের সু-মধুর কুহু-কুহু তানের মধ্যে ফিরে এলো প্রকৃতির ঋতুরাজ বসন্ত।ফলের রঙিন ফুলের সাজে সমারোহ সেজেছে ককস বাজারের চকরিয়া উপজেলার পল্লী-গ্রামের আম গাছগুলো।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,গত ২০ দিন পূর্বেও সর্বত্রে আমের মুুকুলের ভরপুর আর মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছিল।মুকুলরা শোভায় সুবেশিত হয়েছিল নিজস্ব মহিমায়।ফলে বর্ণিল মুকুলে-মুকুলে ছেয়েছিল আম গাছগুলো।এতে মনে হয়েছিল শতভাগ গাছ যেন মুকুলে ভরাট।তবে পাহাড়ের চূড়াঁয় করা আম বাগানের চাষ ও পল্লী গাঁয়ের অযত্ননীয় দেশীয় আম গাছের মুকুলের তেমন কোন ব্যবধান লক্ষনীয় ছিলনা।

একজন চাষ বাগানের মালিক ও পল্লী গায়ের বসতরত মালিকের সাথে কথা বললে,তারা জানান,ফালগুনের শুরুতে আমের মুকুলের বর্ণিল সাজে নজর কেড়েঁ নিয়েছিল সব মানুষের।এমতাবস্হায় এবছর বৈরী আবহাওয়া ও শিলা বৃষ্টি না হলে আশানুরুপ আমের ফলন হবে।"বলতে না বলতেই"ফালগুনের পাগলা হাওয়ার প্রবাহে মুকুলের গায়ে লেগেছে আচঁড়।ঝরে পড়ে মুকুলের রাঙাফুল,ফলে মুকুল বরণে এলো মার্ধুযতাহীন কালো রঙ।এতে আশাতীত আম ফলনের ব্যাঘাত গড়বে।

এলাকার প্রবীন-নবীন ব্যক্তিরা জানান,বিভিন্ন জাতের ফলের মধ্যে ও অত্র জেলা,উপজেলার মানুষের কাছে সু-স্বাদু ফল হিসেবে আম খ্যাত।তাই এ আম খাওয়া ছাড়াও বাণিজ্যিক হিসেবে হাট-বাজারের বিক্রির মাধ্যমে অনেক পরিবারে সাময়িক স্বচ্ছলতা ফিরে আসতো।তাই এ অঞ্চলের মানুষ আম গাছ ফলনের উদ্দ্যেগী।আমচাষীরা   ছত্রাক নির্মূলে গাছের পরিচর্যা করে।তবে চাষী ও পল্লীর লোকেরা বলেন,হঠাৎ ফালগুনের পাগলা কাল-বৈশাখির তান্ডবে,লন্ডভন্ড হল এবারের আমের মুকুল।তাই ভাল ফলনের আশা করছিনা।বাকীটা সৃষ্টিকর্তার মর্জি।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ জাকের হোছাইন বলেন,আমের ফলন পরিদর্শনে সরকারী কোন সিডিউল নেই।তবে কোন চাষী বা ব্যক্তি ছত্রাক থেকে মুুকুল রক্ষার পরামর্শ চাইলে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি বলে জানান।