কক্সবাজারে ঝাড়ু ফুলের দর-বৃদ্ধি:বন না থাকাটাই প্রধান কারণ

এম,জুনাইদ উদ্দিন (চকরিয়া) কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ৪১৪

কক্সবাজারের ৮ উপজেলাতে ঝাড়ুঁ ফুলের অভাবে দর-বৃদ্ধিতে বিক্রি চলছে।তার প্রধান কারণ বন নেই।ফলে বনবিভাগের বনের জায়গা ক্রমশে হ্রাস পাওয়াই নিত্য-প্রয়োজনীয় ঝাড়ুঁ ফুলের দর-বৃদ্ধিসহ অভাবটা চোখে পড়ার মত দৃশ্যমান হয়।

বিভিন্ন উপজেলার সচেতন ব্যক্তিদের সাথে এবিষয়ে কথোপকতনে জানা যায়,প্রথমত দেশে জন-সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চাষাবাদী জমি ও বনভূমির জায়গায় উপর দিন-দিন ঘর-বাড়ী,দোকান-পাট নিমার্ণ হচ্ছে।এছাড়া হাট,বাজারে ও প্রতিদিন দোকান-পাট, ব্যবসায়ী অফিস সহ বিভিন্ন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।

সর্বপুরি উপকূলী এলাকা থেকে মানুষ ক্রমাগতভাবে টাউন ও পাহাড় বা উচুঁ জায়গা মূখী হওয়াই, বনের জায়গাকে তারা বসাবস করার উপযোগী করে তুলার কারণে আজ কক্সবাজারের বনভূমি উজাড় হয়ে বিলুপ্তির মূখে পড়েছে। এদিকে বনভূমির হ্রাসবৃদ্ধি, আরেক দিকে ঘর-বাড়ী, দোকান-পাট, অফিস, ভবনের, বৃদ্ধি। দক্ষিণে পাহাড় চূড়াঁয় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের স্থান। ফলে সব মিলিয়ে সর্বক্ষেত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবহারীত নিত্য প্রয়োজনীয় এইঝাড়ুঁ ফুলের ব্যবহারের চাহিদা বাড়লেও সম্প্রতি সময়ে তা প্রয়োজন মোতাবেক না পাওয়ায় দর-বৃদ্ধিতে ১০ টাকা জিনিষ এখন ৩০/৪০ টাকায় বিক্রিত হচ্ছে।

বনভুমির রক্ষায় বন-জায়গিদার উদ্দেশ্য এক সময় কক্সবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেন চকরিয়াস্হ ফাসিয়াখালী রেঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন,একজন মানুষের প্রতিদিন সাতশত টাকার অক্সিজেন গ্রহন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে একটি দেশে ১০০% ভাগের ২৫ ভাগ বনভূমির দরকার। এছাড়াও বনের ছোট-বড় গাছ-গাছালি সকলের নিত্য প্রয়োজন।তাই আপনারও বনবিভাগকে আন্তরিকতার সহিত বন রক্ষার কাজে এগিয়ে আসুন।অন্যথায় বিলুপ্তি হলে বিভিন্নভাবে আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের সংকটের সম্মুখিন হব। কারণ বনবিভাগে কর্মরত লোক সংখ্যা কম, বন রক্ষাত্রে সহযোগিতা কাম্য সকলের।

এতে বোঝা যায় এখন সামান্য ঝাড়ুঁ ফুলের অভাব মেটাতে বনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। না হয় ঝাড়ুঁ ফুল মিলানো দায়কর হবে।

চকরিয়ায় এক ষ্টেশনে আসা ঝাড়ু ফুল ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর সাথে কথা বলে জানলাম,ঝাড়ুঁ এখন মিলছেনা তাই দাম বেড়েছে। তাছাড়া আগের মত পাহাড়ে বন নেই। তাই লামা উপজেলার হিলটেক এলাকার টিডেপা নামক স্থানে বসবাসরত উপজাতি থেকে ক্রয় করে এনে বিক্রি করি বলে জানান।