টাঙ্গাইল-৭ আসনে

প্রায় দুই যুগ ধরে আওয়ামীলীগ বিএনপির প্রার্থী অপরিবর্তিত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, শনিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২৩৮

টাঙ্গাইল ৭ মির্জাপুর নির্বাচনী এলাকায় গত দুই যুগ ধরে পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থী অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্তমান এমপি মো. একাব্বর হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী একে অপরের প্রতিদ্বন্দি হয়ে নির্বাচনে লড়ে যাচ্ছেন।

১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী আওয়ামীলীগের বর্জন করা একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হন। একই বছর ১২ জুন সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা হয়নি। আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে আওয়ামীলীগের প্রার্থী একাব্বর হোেসেনকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন।তারপর থেকেই দলে তার একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।

আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সম্প্রতি তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়ে দলের নীতি নির্ধারকের পর্যায় পৌছে গেছেন।আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ২০০১ ও ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন। বিএনপি অবশ্য ওই নির্বাচন বর্জন করে।

এদিকে ২০০১ সালে সারা দেশে আওয়ামীলীগের ভরাডুবির সময় একাব্বর হোসেন এমপি নির্বাচিত হয়ে দলে তার ভাবমুর্তি উজ্জল হয়ে উঠে। এরই আলোকে ২০০৮ সালে আবার তিনি দলের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির আবুল কালাম আজাদকে ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সবাইকে তাকে লাগিয়ে দেন। ২০১৪ সালে কোন প্রার্থী না থাকায় একাব্বর হোসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের তিনি সহ হাফ ডজন প্রার্থী দলের মনোনয়ন চান। জনমত জরিপে এগিয়ে থাকায় পঞ্চমবারের মত আবার তিনি দলের মনোনয়ন পেলেন।

প্রায় দুই যুগ ধরে পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে একাব্বর হোসেন তিনবার এবং আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাবরের মতই এই দুজনই মনোনয়ন নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই একাব্বর হোসেন টানা চারবার এবং আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী তৃতীয় বারের মত এমপি নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কার স্বপ্ন পুরণ হয় সেই আলোচনই এখন মির্জাপুরের সর্বত্র।

শামসুল ইসলাম সহিদ/