প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে

মধুপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল ২০৮ গৃহহীন পরিবার

হাফিজুর রহমান
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, রোববার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ | ২০৯

বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বিশেষ বরাদ্দ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মাথা গোজার ঠাঁই পেল টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাশ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার ২০৮ টি গৃহহীন পরিবার। এতে দরিদ্র মানুষগুলো ঘর পেয়ে খুব খুশি হয়েছে।

মধুপুর উপজেলার ১ টি পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়নের ২০৮ গৃহহীন পরিবারকে টয়লেটসহ ১টি করে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। উক্ত প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সার্বিক তত্বাবধানে কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি ব্যতি রেখেই ঘরগুলো তৈরীর কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে যা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। ইতিমধ্যে উপকারভোগী পরিবার গুলো বসবাস শুরু করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রাজীব আল রানা জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মধুপুর উপজেলায় ২০৮ টি ঘর প্রাপ্ত হওয়ার পর সাবেক খাদ্য মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অর্থ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মধুপুর ধনবাড়ী আসনের সংসদ ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের নির্দেশ ক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু সহ প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দের কে নিয়ে উম্মুক্ত ভাবে আলোচনার আয়োজন করে প্রকৃত যে ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয় ।

এবং কী ঘর নির্ভেজাল ও সুষ্ঠভাবে বিতরণ করে বাস্তবায়ন কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে । যাদের এক থেকে পাচঁ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘরটি অনুপযোগী এমন অসহায় পরিবারকে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে টয়লেট সহ ঘর তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে।

ভোক্তভোগী শোলাকুড়ী ইউনিয়নের কুড়ালিয়া দিগীর পাড় এলাকার মোর্শেদা ও নয়াবাড়ীর খাদিজা সহ অন্যান্যরা জানান, “আমাদের ঘর ছিল না, থাকলেও রোদে-বৃষ্টিতে ভিজতে হতো, ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে জীবন কেটেছি। এখন সরকারীভাবে ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশী।”

শোলাকুড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আইন উদ্দিন, চাঁন মিয়া মহিলা ইউপি সদস্য হাসনা এরা জানান, আমরা ভোক্তভোগী কোন লোকের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা নেয়া হয় নাই । প্রধান মন্ত্রীর বিনামূল্যে দেওয়া ঘর বিনামূল্যেই বিতরন করা হয়েছে। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও খুব তৎপর ছিলেন যাতে কেউ কোন প্রকার ঘরের বিনিময়ে টাকা নিতে না পারে।

শোলাকুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বি এ তিনি জানান, আমার ইউনিয়নে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে একেবারে দরিদ্র আসহায় যাদেও জমির সঠিক কাগজ পত্র আছে তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আমার পরিষদের মেম্বার মহিলা মেম্বার কেউ কোন অনিয়ম দূর্নীতি করতে পারে নাই আমিও আমি হইতেও দেই নাই। প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া ঘর সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই বিতরণ করা হয়েছে ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের এই প্রতিনিধিকে বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ থেকে নির্মাণ কাজ শেষ করা পর্যন্ত তিনি নিয়মিত সেগুলো সরজমিনে দেখভাল করছেন। এখানে কোন ধরনের অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে নেই। গরীব ভোক্তভোগীরা প্রধান মন্ত্রীর দেওযা ঘর পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। এজন্য তারা প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধান মন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি ।

মধুপুর গারো আদিবাসী পাহাড়ী অঞ্চল এখানে আরো কিছু গরীব অসহায় পরিবার রয়েছে ২ পর্যায়ে আশা করছি আমরা পাব । তাহলেই মধুপুরে প্রধাস মন্ত্রীর পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়িত হবে।