চকরিয়া সাংস্কৃতিক একাডেমী'র উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন

এম, জুনাইদ উদ্দিন, চকরিয়া
প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮ | ৩৯৪
শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস আজ। ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী।
 
এদিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে চকরিয়া সাংস্কৃতিক একাডেমী। ১৫ আগস্ট সকাল ১০ ঘটিকার সময় চকরিয়া বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন বিজয়মঞ্চ মাঠে সংগঠনের পরিচালক এস, এম, এরফান উল হক এর সভাপতিত্বে এক শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোণাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম সিকদার।
 
প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭৫-এর এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমন, ঘৃণ্য ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন প্রাণ হারান তার প্রিয় সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। ইতিহাসের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সেদিন আরো প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। এ কারণে আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন।
 
শোক সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষক সাংবাদিক এম, রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া সাংস্কৃতিক একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আরমান মাহমুদ, দাপ্তরিক সম্পাদক আবু কুবাইচ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়েত হাবীব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দু শুক্কুর, প্রচার সম্পাদক তামজীদ চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আব্দুল করিম, পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শান্ত ত্রিপুরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জন্নাতুল নাঈম লিজা সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
 
সংগঠনের পরিচালক এস, এম, এরফান বলেন, ১৯৭৫-এর এই কালো দিনটিতেই  মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমনেরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সপরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেদিন আল্লাহ’র অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে।