বগুড়ায় বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারনায় হামলা

খালিদ হাসান,বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮ | ২০০

বগুড়ার ধুনটে বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারনায় হামলা চালিয়ে মাইক, পোস্টার ও বিলবোর্ড ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার সন্ধায় ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী।

জানাগেছে, গত ১৮ মার্চ রাতে ব্রেন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য বেলাল হোসেন শ্যামল তালুকদার মৃত্যু বরণ করেন। একারনে গত ২১ মার্চ ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূণ্য ঘোষনা করে উপ-নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি চলতি মাসের ১৫ মে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে অংশ নিতে গত ১৬ এপ্রিল ৫জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ২৬ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষে ৫জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেকলীগের সদস্য গোলাম সরওয়ার (নৌকা), বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুল করিম আপেল (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু (মোটরসাইকেল) ও আনোয়ারুল হক সরকার (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাদ্দেক হাসান (ঘোড়া)।

তবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারুল হক প্রতীক বরাদ্দ পেলেও তিনি বিএনপির দলীয় প্রার্থী আতিকুল করিম আপেলকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রার্থীরা। কিন্তু বিএনপির দলীয় প্রার্থীর প্রচারনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মাইক ও বিলবোর্ড ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী আতিকুল করিম আপেল (ধানের শীষ)।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ স্বপনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বানিয়াজান চল্লিশপাড়া এলাকায় তার (আতিকুল করিম আপেল) নির্বাচনী প্রচারনার মাইক ভাংচুর করেছে।

এছাড়া সন্ধায় আবু সালেহ্ স্বপন ও ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোমিন নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ভান্ডারবাড়ী, মরিচতলা, বানিয়াজান, শিমুলবাড়ী, মাধবডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় লাগানো পোষ্টার ও বিলবোর্ড ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বেলাল হোসেন বাবুর পোষ্টারও ছিড়ে ফেলা হয়েছে।

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ্ স্বপন বলেন, আমি সারাদিনই ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলাম। তাই এঘটনার সাথে আমি এবং দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত নাই। তবে তারা বর্তমান সরকারকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো: এরফান বলেন, প্রার্থীদের প্রচারনায় হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে নির্বাচন উপলক্ষে আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।