নন্দীগ্রামে ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে লোকশানের মুখে বোরো চাষিরা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৫৯ পিএম, বুধবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ | ২৪১

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কাল বৈশাখী ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে পাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার কারনে লোকশানের মুখে পড়তে পারে বোরো চাষিরা। গত বুধবার বিকালে শুরু হওয়া ৩০মিনিট ব্যাপি ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে পাঁকা ধান গুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক ধান কাটতে শুরু করেছিল। এসপ্তাহে উপজেলা জুড়ে ধান কাটা শুরু হতো কিন্তু গত বুধবারের ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে ধান গুলো শীষ থেকে ঝড়ে পড়েছে ফলে কাঙ্খিত ফলন নিয়ে শংকায় রয়েছে কৃষক। এই বোরো ধান নিয়ে কৃষকদের অনেক স্বপ্ন থাকে। কিন্তু অল্প সময়ের ঝড়ে সেই স্বপ্ন এখন মাঠে গড়া গড়ি খাচ্ছে।

এছাড়া ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে বাড়ি ঘর গাছপালা ও সবজি জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে ২০ হাজার ৪শ ৪৪ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় ও কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছিলো সোনালী ধানের শীষ।

কিন্তু কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে পাঁকা ধান মাটিতে পড়ে গিয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পড়ে যাওয়া ধান গুলোতে আর আশানুরুপ ফলন হবেনা। ফলে কৃষকদের অনেক টাকা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা ধান পুরোপুরি কেটে ঘরে তোলার আগেই কাল বৈশাখী ঝড়ে সব শেষ হয়েছে। এদিকে ধানের সাথে সাথে কৃষকদের চাষকৃত মরিচ, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। একদিকে ধান অন্যদিকে সবজি এই দুইটি ফসল ঝড়ো বৃষ্টির কারনে একসাথে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অনেক টাকা লোকশান হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা ।

উপজেলার দামগাড়া গ্রামের কৃষক খোকা মন্ডল জানান, খুব ভালো ধান হয়েছিল। এমন সময় ধান কাটার আগেই ঝড়ো বৃষ্টিতে ধান গুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। শীষ থেকে ধান ঝড়ে যাওয়ায় এখন আর আশানুরুপ ফলন হবে না। ধানের থেকে চিটার পরিমান হবে বেশি। রিধইল গ্রামের বেগুন চাষী জাহিদুল জানান, অনেক টাকা খরচ করে বেগুন চাষ করেছিলাম।

কিন্তু ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে চাষকৃত বেগুনের গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এতে করে অনেকটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা. মশিদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শীলা বৃষ্টির পর মাঠ জরিপের কাজ চলছে, জরিপ শেষে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান জানাযাবে।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শারমিন আখতার জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করতে মাঠ জরিপ করতে বলা হয়েছে।