কোন প্রকার যানজট হবে না মহাসড়কে-অতিরিক্ত ডিআইজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ | ১৪৩

ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) নূরে আলম মিনা। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক তিনি পরিদর্শন করেন।

তিনি এসময় বলেন, কোন প্রকার যানজট সৃষ্টি হবে না মহাসড়কে নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। মহাসড়কে কিছু জায়গায় গাড়ির জটলা থাকলেও তা চলমান রয়েছে। কোথাও গাড়ির চাকা থেমে নেই। বলতে পারি কোন প্রকার ভোগান্তি ও যানজট মুক্ত যাত্রীরা তাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ এক মাস সময় ধরে পুলিশ এ যানজট নিরসনের জন্য প্লানিং করে আসছে যা সফল হয়েছি বলে মনে করি। কারণ এখন পর্যন্ত কোথাও ওই রকম যানজটের খবর নেই। পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি সংখ্যা  বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে করে কোন প্রকার যানজটের সৃষ্টি না হয়।

পরিদর্শনের সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এদীবা নুসরাত লুনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন আহমেদ, কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, সকালে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ১৫ কিলোমটিার এলাকায় ধীর গতির সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা এখন কমে গেছে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় যানবাহনের ধীর গতি রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ আরও বাড়লে যানজট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে আশা করছি কোন ভাবেই যেনো গাড়ি থেমে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখছে জেলা পুলিশ।

ঢাকা থেকে আসা এলেঙ্গা পর্যন্ত যাত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ঢাকা গার্মেন্টসে চাকুরী করি ১৫ বছর হবে। যতবার ঈদে বাড়ি এসেছি ততবার যানযটে পড়েছি। এবার খুব ভালো ভাবে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসলাম খুব ভালো লাগছে।

গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে হানিফ পরিবহনে আসা খালেদ মিয়া বলেন, গতবার থেকে এবার অনেক ভালো ডিউটি করছে পুলিশ সদস্যরা। যার ফলে কোথাও কোন প্রকার যানজটে পড়তে হয়নি।

শুক্রবার মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পৌলি ও এলেঙ্গাসহ বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যানবাহনের কিছুটা ধীর গতি দেখা যায়। ধীর গতি বিকেলের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে দাবী করছে পুলিশ প্রশাসন।