টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে বালু খেকোদের  থাবা,বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইড বাঁধে ধস

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২ | ২২০

যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও অবৈধভাবে সারা বছর বালু উত্তোলনের কারণে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে সেতু রক্ষা গাইড বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার অংশ ধ্বসে গিয়ে নদীতে দেবে গেছে। ফলে গাইড বাঁধের আশপাশে থাকা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় ও মৌসুমী বালু খেকোরা কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে যমুনা ও নিউ ধলেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজারসহ বিভিন্ন ধরনের পন্থায় বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এতে করে নদীর তলদেশ খালি হওয়ায় প্রভাব পড়ছে বাঁধের ওপর। প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করে চলছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ের দক্ষিণে কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া, আলীপুর উত্তরপাড়া গাইড বাঁধের কয়েকটি স্থানে ব্লকগুলো ধসে যাচ্ছে নদীগর্ভে। ধস রোধে জিও ব্যাগ ফেলছে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ ছাড়াও নিউ ধলেশ্বরী নদীতে বুড়িগঙ্গা খনন প্রকল্পে সারি সারি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গাইড বাঁধের কাছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু নেতা বালু ব্যবসায়ী ড্রেজার বসিয়ে বালু আনলোড করার কারণে ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তলদেশ খালি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্লকগুলো নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ব্লকের নিচের অংশ থেকে বালু সরে যাওয়ায় ধস দেখা দিয়েছে। ধস রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আর খনন কাজে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলা ড্রেজার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বালু বিক্রির বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।