জমির বিরোধের জের ধরে দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলল ২ শতাধিক ফলজ গাছ
চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালীতে জমি জমার বিরোধের জের ধরে দিনে দুপুরে ২শতাধিক ফলজ গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। ১৬ জানুয়ারী দুপুরে ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ছড়ারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় বিধবা উম্মে কুলসুম বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর গ্রাম আদালতে একখানা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকূল নামক এলাকার বিধবা উম্মে কুলসুম ৮শতক জমি নিয়ে তথায় গাছপালা সৃজন করে ১০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিল। ধারাবাহিক ভাবে সম্প্রতি ঘর করার জন্য ভিটার চতুষ্পার্শে বাউন্ডারীর জন্য আরসিসি পাকা পিলার করে দেয়াল দিচ্ছিল। এমতাবস্থায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মেম্বার মমতাজ উদ্দিন এবং তার পুত্র ইব্রাহীম ও ইউসুফ একদল সন্ত্রাসী নিয়ে বিধবার ভিটাবাড়ীর বাউন্ডারী নির্মান কাজে বাধা দেয়। মমতাজ গং পাকা বাউন্ডারী নির্মান শ্রমিকদের ধাওয়া করে।
প্রভাবশালী দখলবাজ মমতাজ গং বিধবার বাড়ী ভিটা দখলে নিতে শতাধিক সুপারি গাছ, কাটাল,মেহগিনি, আম,জাম ও কামরাঙ্গা সহ ২ শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। দুর্বৃত্তদের হামলার মুখে জমির মালিক উম্মে কুলসুম এ নির্মান শ্রমিকরা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। জমির মালিক বিধবা উম্মে কুলসুম জানান, মমতাজ মেম্বার ও তার পুত্ররা স্থানীয় প্রভাবশালী সাংসদ জাফর আলমের নিকটাত্মীয় হয়। এমপির প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল। জমির মালিক দাবী করে তারা আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছিল।
এ দিকে অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার মমতাজ উদ্দিন বলেন, ঐ জমি তার মৌরুসি সম্পত্তি। বিধবা যার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে সেই বিক্রেতা নি:সত্ত্ববান। তাই তারা তাদের বাড়ী নির্মান ও বাউন্ডারী নির্মানে বাধা দিতে গিয়ে কিছু গাছ কাটা গেছে। তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর গ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান।
এ ঘটনা দেখে দূ:খ প্রকাশ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী একদল স্থানীয়। তাদের মতে বিরোধ রয়েছে জমি নিয়ে, কিন্তু গাছ কি দোষ করল? তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।