দেড় বছর ধরে ভারী যান পারাপারে নিষেধাজ্ঞা

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২ | ৪২৭
দুই বছর আগে একটি স্লাভ ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরেছে। ভারী যানবাহণ উঠলেই সেতু কাঁপতে থাকে। দেড় বছর আগে যান পারাপার বন্ধের জন্য বিপদজ্জনক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় সেতুর দুই পাশের মাটি খুড়ে করা হয়েছে খন্দক।
 
ব্যস্ততম গোপালপুর-ভূঞাপুর সড়কে বৈরাণ নদীর এমন জীর্ণ সেতু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
 
পৌরসভার সূতী পলাশ এলাকার সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বৈরাণ নদীর উপর বলাটা সেতু নির্মিত হয়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুরের মানুষ ভূঞাপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়ে উত্তরবঙ্গে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহণে এই সেতুটি ব্যবহার করেন। দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বৈরাণ নদী খননের সময় অপরিকল্পিতভাবে সেতুর নিচের মাটি কেটে নেয়। বর্ষাকালে স্রোতে মাটি ধুঁয়ে সেতুর পিলার আলগা হয়ে যায়। ফলে সেতুটি মারাত্মক বিপদজ্জনক হয়ে পড়ে।
 
উপজেলা এলজিইডি অফিস জানায়, ১ হাজার মিটার চেইনেজ ও ৮০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডারের বলাটা সেতুর একটি স্লাভ ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরেছে। ফলে সেতুটির একপাশ কিছুটা হেলে পরেছে। ভারী যানবাহণ উঠলে সেতুটি কাঁপতে থাকে। যে কোন সময় সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, এলজিইডি প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালপুর-ভূঞাপুর ভায়া ফলদা সড়কটি নির্মাণ করছে। কিন্তু জীর্ন ও নড়বড়ে বলাটা সেতু ভেঙ্গে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ না করায় জনগণ সড়কের সুফল পাচ্ছেনা। টানা দু্ই বছর ধরে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় এ সেতু নিয়ে কথা হয়, রেজুলেশন হয়। ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এলজিইডি মানুষের দুর্ভোগকে পাত্তা দিচ্ছেনা। ভারী ও মাঝারী যানবাহণ ২০-২৫ কিলো ঘুরে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তি হচ্ছে।
 
গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, বলাটা সেতুর বিপদজ্জনকদশা এবং মানুষের ভোগান্তি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া হয়েছে।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, আপাদত এখানে দ্রুত বেইলী ব্রীজ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।