টাঙ্গাইলে অসময়ে যমুনার তীব্র ভাঙনে দিশেহারা ১৫ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ৬৬

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী ১০ খাদা এলাকায় অসময়ে যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙনের কবলে পড়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে কয়েকটি পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিনিয়তই শতশত বালুবাহী বাল্গহেড নদীর পার ঘেসে চলাচল করায় ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে যমুনা নদী যে কোন সময় ভাঙতে পারে। আর এই ভাঙন রোধে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানায়, শুষ্ক মৌসুমেও নদী তীরবর্তী চরপৌলী এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুরো এলাকা চলে যাবে যমুনা নদীগর্ভে। ভাঙন আতংকে অনেকে বাড়ি-ঘর অনন্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া হুমকির মধ্যে রয়েছে অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার। হঠাৎ করেই সকাল ১০টা থেকে তীব্র ভাঙন শুরু হয় এ এলাকায়। মুহুর্তের মধ্যেই ১৫টি বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অসময়ে ভাঙনের ফলে আতংকে দিন কাটাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। অতি দ্রুত ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক বলেন, আমরা দিন মজুরের কাজ করি। সকলেই প্রায় চার বারের অধিক ভাঙনের কবলের শিকার হয়েছি। সরকার সহযোগিতা না করলে আমরা আরও বিপাকে পড়বো।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম খা বলেন, ইতিপূর্বেও আমাদের এলাকার আড়াই সহশ্রাধিক বাড়ি ঘর যমুনা বিলীন হয়েছে। মঙ্গলবারও প্রায় ১৫ পরিবার বিলীন হয়েছে। নদী নিম্নমানের বস্তা ফেলায় এভাবে ক্ষতি হয়েছে। ঠিকাদারের শাস্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়। এতে ১৫ পরিবার দিশেহারা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করা হলে তাদের খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, বিষয়টি প্রথম জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানা হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুতই প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।