ভালো নেই মৃৎ শিল্পীরা কোন ভাবে চলছে সংসার
![](https://alokitoprojonmo.com/images/AP_Icon.png)
![](/photos/shares/News_Photo/2022/january/16-01-2022/3_jpg.jpg)
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পৌর শহরের সুতী পালবাড়ির ঐতিহ্য এখন হুমকির মুখে,এক সময় মানুষ মাটির তৈরি হাড়ি, পাতিল, কলস ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল থাকলেও, কালের পরিক্রমায় দিন দিন কমেছে মৃৎশিল্পের কদর, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষ এখন সীসার তৈরি হাড়ি, পাতিল, কলসের উপর নির্ভরশীল।
এছাড়াও মানুষের জীবনমান উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, উন্নত প্রযুক্তির দিকেই ঝুঁকছে মানুষ । অধিকাংশ মানুষ এখন রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, পানির ফিল্টার ইত্যাদি সামগ্রী ব্যবহার করতেই সাচ্ছন্দ বোধ করেন। এতেই বিপাকে পড়ছে মৃৎশিল্পের উপর নির্ভরশীল মানুষ, দিন দিন পেশার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন মৃৎশিল্পের সাথে যুক্ত মৃৎশিল্পীরা ।
পাল বাড়ির বাসিন্দা পূন্ন যাদব পাল জানান, সংসারে তার স্ত্রী সহ দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে তাদের সহযোগিতায় তৈরি মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেই চলতো তার সংসার । বিক্রি বাট্রা কম থাকায় এখন অভাব অনটনে সংসার চলে, পিতা কান্দি চন্দ্র পালের থেকেই তিনি শিখেছিলেন মৃৎশিল্পের কাজ ।
তিনি আরো জানান, শীত এলে এসবের চাহিদা একটু বেড়ে যায়, প্রতি শনিবার গোপালপুর হাটে অল্প কিছু মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করা যায়, সপ্তাহের বাকি দিনগুলো মাটির জিনিসগুলো নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম হাঁটতে হাঁটতে কিছু বিক্রি করা যায়। এ দিয়েই সারা সপ্তাহ অভাবের সংসার চালিয়ে যেতে হয়। আগে মাটি কিনতে হতো না, এখন মাটি কিনে আনতে হয়। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এ কর্ম ছাড়তেও পারছিনা। ষাটোর্ধ্ব পূন্ন যাদব পাল আরো বলেন, এখন আগের মতো শরীর চলেনা, সরকারি সহযোগিতা না পেলে এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
জানা যায়, পৌর শহরের সুতী, ডুবাইল, চন্দবাড়ি ও উপজেলার হেমনগর, ঝাওয়াইলের পাকুটিয়ায় অনেক পরিবার এই মৃৎশিল্পের উপর নির্ভরশীল ।
গোপালপুর পৌরসভার, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সুতী গ্রামের পাল পরিবারের বেশ কয়েকজন বিধবা ও বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে সকলের তালিকা করা হয়েছে ।
উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মনজুর রহমান বলেন,সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকা করা হয়েছে, সেখানে পাল পরিবারের ২৩০জনের নাম রয়েছে । নির্দেশনা পেলে পরবর্তীতে তাদের ভাতা প্রদান করা হবে।