টাঙ্গাইলে বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ১২:০০ পিএম, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ | ২৭৩

টাঙ্গাইলে উত্তরের বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কয়েক দিন যাবত জেঁকে বসেছে শীত। গত তিন দিন ধরে দিনের বেলায় অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কাঙ্খিত উত্তাপ অনুভব করা যায়নি। রাত ও সকালে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে উত্তরের বাতাস অনুভূত হয় হাড় কাঁপা শীত। এতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। সড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

সরেজমিন শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কাগমারা, ধরেরবাড়ী, লাউজানা, চিলাবাড়ী, বাসারচরসহ বিভিন্ন ঘুরে দেখা যায়, সকাল বেলা ঘন কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে। চারিদিকের সরিষার ক্ষেত ও মাঠঘাট কুয়াশায় ডাকা। ঘন কুয়াশার কারণে ৩০ গজ সামনে দেখা যায় না। অনেকই বিভিন্ন কাজে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে। শীতের তীব্রতায় ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
রিকশাচালক শাহিন মিয়া বলেন, শীতের কারণে রাতে ও সকালে ভাড়া খাটতে পারি না। কয়েক দিন ধরে খুব শীত পড়ছে। এখন গরিবের অসময় চলছে; একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে আয় কমে যাওয়ার ফলে অর্থের কষ্ট।

মোটরসাইকেল চালক সুজন মিয়া বলেন, শীতের কারণে কয়েক দিন যাবত মোটর সাইকেল চালাতে পারি না। শীতে গলায় ঠান্ডা লাগে ও নাক মুখ দিয়ে শরীরের ভিতরে কুয়াশা প্রবেশ করে। এক দিন মোটরসাইকেল চালালে কয়েক দিন ভোগান্তি পোহাতে হয়।

মাইক্রো চালক আজিজুর রহমান বলেন, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শহরের সড়কগুলো কুয়াশায় ঢেকে থাকে। অনেক সময় গাড়ির সামনে হেড লাইট জ্বালিয়েও বেশি দূর পর্যন্ত দেখা যায় না, ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, শুক্রবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।