লুট হচ্ছে ২২টি খাল,অস্তিত্ব নেই পাঁচটির 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, রোববার, ৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২১০

‘নদী-চর, খাল, বিল, গজারির বন- টাঙ্গাইল শাড়ি তার গরবের ধন’- এ বচনটি টাঙ্গাইলবাসীর কাছে অনেকটা ফিকে হয়ে আসছে। ইতিহাস-ঐতিহ্যে গৌরবদ্বীপ্ত টাঙ্গাইল শহরের ২৭টি খালের মধ্যে পাঁচটি লুটেরাদের দৌরাত্মে ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা ২২টি খাল লুটের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

জানা যায়, মানব সৃষ্ট উন্মুক্ত জলপ্রবাহ খাতকে খাল বলা হয়। খাল দুই ধরনের হয়ে থাকে- একটি বাহন খাল ও অন্যটি নৌ-পরিবহন খাল। সেচ, জল নিষ্কাশন বা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশে বহন খাল খনন করা হয়। অন্যদিকে, নৌ-যোগাযোগের উদ্দেশে নৌ-পরিবহন খাল খনন করা হয়। তবে উভয় প্রকার খালই সাধারণত নদীর সাথে সংযুক্ত থাকে। সেচের প্রয়োজনেই ১৮৬৯ সালে প্রথম খাল খনন করার প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। টাঙ্গাইল এক সময় নদীপথে বাণিজ্য নির্ভর শহর ছিল। সম্ভবত ছোট-বড়  জাহাজ, মালামাল পরিবহণের জন্য বড় বড় নৌকা ও মানুষের ব্যবহারে মিষ্টি পানির সংরক্ষণে টাঙ্গাইলের খালগুলো খনন করা হয়। 

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড শহরে কতগুলো খাল রয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি। তবে কাগজ-কলমে খালের দাগ-খতিয়ান নম্বর, এসএ, সিএস, আরওআর ও বিএস নম্বর পাওয়া গেলেও বাস্তবে খালগুলোর অস্তিত্ব ক্ষীণ। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ঘেটে টাঙ্গাইল শহরের আওতায় ২৭টি খালের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে পাঁচটি খাল প্রভাবশালী লুটেরাদের দৌরাত্মে ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে। বাকি ২২টি খাল প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা নানা কৌশলে ক্রমান্বয়ে দখল করছে। খাল দখল করে নির্মাণ করছে বড় বড় মার্কেট ও বাসাবাড়ি। মার্কেট ও বাসাবাড়ির পয়নিষ্কাশনের পাইপের সংযোগ এসব খালের মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় খাল থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব খাল উদ্ধার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি শহরবাসীর।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) টাঙ্গাইলের জরিপ থেকে জানা যায়- টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০, ১২, ১৩ ও ১৬নং ওয়ার্ডে কোন খাল নেই। বাকি ১৪টি ওয়ার্ডে ২৭টি খাল রয়েছে।

এরমধ্যে ১নং ওয়ার্ডের দেওলা ধুল মৌজায় ২৪২ ও ৪৯৯ দাগে দেওলা থেকে কান্দিলা পর্যন্ত একটি খাল। ২নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর মৌজায় ১৮৬০ দাগে মাগুরাটা থেকে বৈল্যা হাটখোলা হয়ে হাজরাঘাট পর্যন্ত একটি।

৩ নং ওয়ার্ডের কাগমারা পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া মৌজার ৩২২৬, ১০৯৩, ৯০০ দাগে ও ৫৭ সিএস খতিয়ানে লৌহজং নদী থেকে বেড়াডোমা পর্যন্ত একটি এবং বেলকুচি রোড থেকে জালাল পন্ডিতের বাড়ি পর্যন্ত একটি খাল।

৪নং ওয়ার্ডের বেড়াডোমা, দিঘুলিয়া, পাড়দিঘুলিয়া মৌজার ২০৮, ৩৪১ দাগে ৮ সিএস খতিয়ানে লৌহজং নদী থেকে সাটিয়া পর্যন্ত একটি ও বেড়াডোমা নদী হতে কাগমারা পর্যন্ত একটি এবং দিঘুলিয়া ব্রিজের ঢাল থেকে সারুটিয়া পর্যন্ত একটি খাল।

৫নং ওয়ার্ডের সাকরাইল, কালিপুর মৌজার ১৮০ আরওআর রেকর্ডে লৌহজং নদী থেকে সাকরাইল পর্যন্ত একটি, সিএস খতিয়ান ১৩৩৪ ও হাল খতিয়ান ১৩২৯ এর সাকরাইল নদী থেকে সন্তোষ পর্যন্ত একটি, ৫০০ বিএস রেকর্ডে সানা মিয়ার বাড়ি থেকে বকুলতলী রোড পর্যন্ত একটি, ৫৩৫, ৫৩৮ ও ৯০৭ বিএস রেকর্ডে বটতলা থেকে সেন বাড়ি পর্যন্ত একটি এবং ৪২৫ বিএস রেকর্ডে মতিন চাকলাদারের বাড়ি থেকে বেলতা ভাঙ্গাবাড়ী পর্যন্ত একটি খাল।

৬নং ওয়ার্ডের পারদিঘুলিয়া মৌজার ৮৪, ১৪৬, ১০২, ৩৭৭, ৪০২, ৪১৯, ৬৮৮ দাগে লৌহজং নদী থেকে বাকা মিয়ার ব্রিজ পর্যন্ত একটি খাল।

৭নং ওয়ার্ডে সন্তোষ, ভবানীপুর, পাতুলী পাড়া মৌজার ৫৪, ২৭, ৭১৯ সিএস খতিয়ানে লৌহজং নদী থেকে সন্তোষ লালব্রিজ(পুরাতন ব্রিজ) পর্যন্ত একটি ও ৬০৭ সিএস খতিয়ানে ল²ীপুর থেকে সন্তোষ দিঘী পর্যন্ত একটি এবং ৭৪৭ সিএস খতিয়ানে সন্তোষ লালব্রিজ (পুরাতন ব্রীজ) থেকে বাগানবাড়ী পর্যন্ত একটি খাল।

৮নং ওয়ার্ডে সন্তোষ, অলোয়া ভবানী মৌজার ৮০৬, ১০১২ সিএস খতিয়ানে সন্তোষ লাল ব্রীজ থেকে সন্তোষ মাদারখোলা পর্যন্ত একটি এবং ৩, ১৪৬, ১৫৬, ১৫৭, ১৫৮, ১৮৯, ২৬৭ সিএস খতিয়ানে সন্তোষ মাদারখোলা থেকে এলাসিন রোড জোড়াব্রিজ পর্যন্ত একটি খাল।

৯নং ওয়ার্ডে অলোয়া ভবানী ও অলোয়া তারিণী মৌজার ৭৯৮, ৮৪৯, ৯২৭ এসএ রেকর্ডে লৌহজং নদী থেকে এলাসিন রোডের জোড়াব্রিজ পর্যন্ত একটি খাল। ১১নং ওয়ার্ডে কান্দাপাড়া, কচুয়াডাঙ্গা, বেড়াবুচনা মৌজার ৩২৮ সিএস খতিয়ানে বেড়াবুচনা পানির ট্যাংক থেকে লৌহজং নদী পর্যন্ত একটি ও ২৩৩ সিএস খতিয়ানে দক্ষিণ বেড়াবুচনা মেইন রোড থেকে অলোয়া পাইকোস্তা পর্যন্ত একটি খাল।

১৪নং ওয়ার্ডে বিশ্বাস বেতকা মৌজার ৫৯৭, ৫৯৮, ৬০১, ৬২০ এসএ রেকর্ডে বাকা মিয়ার ব্রিজ থেকে খাদ্যগুদামের পাশের ব্রিজ পর্যন্ত একটি খাল। ১৫নং ওয়ার্ডে বিশ্বাস বেতকা মৌজার ৭১৭,৭১৯, ৪২৭, ৭৩১, ৭৩৪, ৭৩৫, ৭৭৩, ৩৯০, ৭৮৩, ৮০১, ৮০৩ এসএ রেকর্ডে খাদ্যগুদাম থেকে বেতকা সুতারপাড়া পর্যন্ত একটি খাল।

১৭নং ওয়ার্ডে বিশ্বাস বেতকা মৌজার ৮১৫, ৮২০, ৮৩৮, ৮৬১, ৮৬৩ এসএ রেকর্ডে সুতারপাড়া থেকে বোরাই বিল পর্যন্ত একটি এবং ৩০০, ২৩৬ এসএ রেকর্ডে মুন্সিপাড়া মসজিদ থেকে প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত একটি খাল।

১৮নং ওয়ার্ডে সাবালিয়া, কোদালিয়া মৌজার ২৯০, ২৪৬ সিএস খতিয়ানে সাবালিয়া বটতলা থেকে জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত একটি এবং ৬০, ১২১, ১১৭ এসএ রেকর্ডে জেনারেল হাসপাতাল থেকে কোদালিয়া শেষ সীমানা পর্যন্ত একটি খাল রয়েছে। 

টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাগমারা, পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া মৌজায় ৩২২৬, ১০৯৩, ৯০০ দাগের ও ৫৭ সিএস খতিয়ানে লৌহজং নদীর বেলকুচি রোড থেকে জালাল পন্ডিতের বাড়ি পর্যন্ত একটি খাল।

১১নং ওয়ার্ডে কান্দাপাড়া, কচুয়াডাঙ্গা, বেড়াবুচনা মৌজার ৩২৮ সিএস খতিয়ানে বেড়াবুচনা পানির ট্যাংক থেকে লৌহজং নদী পর্যন্ত একটি খাল। ২৩৩ সিএস খতিয়ানে দক্ষিণ বেড়াবুচনা মেইন রোড থেকে অলোয়া পাইকোস্তা পর্যন্ত একটি খাল।

১৮নং ওয়ার্ডে সাবালিয়া, কোদালিয়া মৌজার ২৯০, ২৪৬ সিএস খতিয়ানে সাবালিয়া বটতলা থেকে জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত একটি এবং ৬০, ১২১, ১১৭ এসএ রেকর্ডে জেনারেল হাসপাতাল থেকে কোদালিয়া খাল। এই পাঁটি খালের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

সরেজমিনে জানা যায়- শহরের সাবালিয়া খালটি টাঙ্গাইল শহরের ময়মনসিংহ সড়কের বায়তুন নূর জামে মসজিদের পাশ থেকে সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়া হয়ে সাবালিয়া বটতলা কালভার্ট হয়ে বৈরান নদীতে সংযোগ হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী মহল প্রথমে ময়লা আর্বজনা দিয়ে খালটি কৌশলে ভরাট করে প্রথমে টিন দিয়ে সীমানা প্রাচীর গড়ে তুলে। কিছুদিন পর সেখানে রাতারাতি ইটের দেয়াল নির্মাণ করে। এর কয়েক বছর পর সেই ইটের দেয়াল ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়। এভাবেই বহুতল ভবন নির্মাণ করে সাবালিয়া খালের চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, খালের ওপর সীমানা প্রাচীর, আধা-পাকা ঘর, টিনশেড ঘর ও পরে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। খালের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এ দিকে সরকারি কুমুদিনী কলেজ গেট-সুরুজ সড়কে সাবালিয়া বটতলা এলাকায় খালের ওপর কালভার্ট থাকলেও দক্ষিণ পাশে খাল চেনার কোনো উপায় নেই। যে যার মতো পেরেছে খালের জায়গা দখল করে নিয়েছে। কালভার্টের দক্ষিণ পাশে রফিকুল ইসলাম নামে একজন সীমানা প্রাচীর ও বহুলতল ভবন নির্মাণ করায় খালের কোনো চিহ্ন নেই। শুধু তিনিই নন। তার মতো সাইদুর রহমান, ইদু মিয়া, মো. হারুন মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়ারাও খালের জায়গা দখল করে বিনা বাধায় সীমানা প্রাচীরসহ বহুতল ভবণ নির্মাণ করেছেন। খাল দখলে যাদের বাধা দেওয়ার কথা সেই টাঙ্গাইল পৌরসভাও খাল দখল করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। তবে রাস্তার পাশে পৌরসভা ড্রেনও নির্মাণ করেছে- এটাই আশার কথা।  

পৌরসভার কচুয়াডাঙ্গা এলাকার রহিম মিয়া, বেড়াবুচনার হাসেম মিয়া, পারদিঘুলীয়ার আজগর আলী, বিশ্বাস বেতকার নাজমুল মিয়া সহ অনেকেই জানান, কচুয়া ডাঙ্গা-বেড়াবুচা খাল দিয়ে প্রায় ৪০ বছর আগে ধান-পাটের নৌকা নিয়ে তারা করটিয়া হাটে যেতেন। সেই খাল ভরাট হওয়ায় তার কোনো চিহ্ন নেই। কয়েক যুগ আগে নৌকা যোগে লৌহজং নদী হয়ে শ্যামা খাল দিয়ে শহরের নিরালা মোড়ে ব্যবসায়ীরা আসতেন। সেই খালটি এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এছাড়া পঁচা দুর্গন্ধে খালের পাশ দিয়ে হাঁটা-চলা করা যায় না।

তারা জানায়, প্রভাবশালীরা যে যার মতো খালের জায়গা দখল করে বাসাবাড়ি-মার্কেট নির্মাণ করেছে। অন্যদিকে খালের জায়গা দিয়ে পৌরসভা রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করেছে। একমাত্র প্রশাসনই শহরের খালগুলো উদ্ধার করতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস- তাই জেলা প্রশাসনের দ্রæত হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা। 

টাঙ্গাইল নদী, খাল, বিল, জলাশয় ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক রতন সিদ্দিকী জানান, জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজসে অনেক আগে থেকে খালের জায়গা ভরাট করে দখল হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বর্তমান সময়ে কাগজ-কলমে খাল থাকলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছেনা। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) টাঙ্গাইলের ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র চন্দ জানান, টাঙ্গাইল শহরের ২৭টি খালের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। নদী, খাল, বিল ও জলাশয় উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্টেরও দিকনির্দেশনা রয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর জানান, নদী-খাল ও জলাশয় মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। শহরের প্রয়োজনীয় খালগুলোর বিষয়ে সকল পক্ষের সমন্বয়ে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া খাল যেমন জনসাধারণের প্রয়োজন তেমনই রাস্তাগুলোও জনস্বার্থে নির্মাণ করা হয়। পৌরসভা কোন খালের উপর রাস্তা নির্মাণ করেছে এমনটা তার জানা নেই, ড্রেন খাল ঘেষে নির্মাণ হয়ে থাকতে পারে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের মির্জাপুর অংশের ২২ কিলোমিটার এলাকায় নদী পুনঃখনন ও নদী তীর সংরক্ষণে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া নদীর টাঙ্গাইল শহরের অংশে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম জানান, দখলকৃত খালগুলো যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উদ্ধার করা হবে। শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদী দখল-দুষণমুক্ত করতে ইতোমধ্যে ডিপিপি করা হয়েছে। ওই ডিপিপি সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। লৌহজং নদীর দখল-দুষণমুক্ত করার বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ খুব দ্রুত দৃশ্যমান হবে। একই সঙ্গে খাল পুনরুদ্ধারেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।