নজর কাড়ছে কালিহাতীর কালা মানিক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৩:১২ এএম, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০১৯ | ২৪৯

মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে দেওয়া হয় কোরবানী। পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণে। কোরবানি উপলক্ষে পশু বিক্রেতারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। দীর্ঘদিনের লালন পালন করা গরু ছাগল তুলে দেন ক্রেতাদের হাতে।

এবারের কোরবানীর ঈদে নজর কাড়ছে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর মহেলা গ্রামের মোস্তফার ষাঁড় গরু কালা মানিক । বিশাল আকৃতির কালা মানিককে দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। গরুটি লম্বায় ৯ ফুট ১০ ইঞ্চি,  উচ্চতায় ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং রং কুচকুচে কালো।

রং মিস্ত্রি মোস্তফা ৩ বছর আগে পাশের গ্রামের ওয়াশিমের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকায় শাহীয়াল জাতের বাছুর কিনে আনেন। অনেক কষ্ট করে স্ত্রী রাশিদাকে নিয়ে বাছুরটিকে বড় করেছেন। মোস্তফা রাশিদা দম্পতি ষাঁড়টির নাম রেখেছেন কালা মানিক। লালন পালন করে প্রায় ৩৫ মণ ওজনে কালা মানিককে গড়ে তুলেছেন। এতে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছেন মোস্তফার স্ত্রী রাশিদা বেগম। ব্যক্তি পর্যায়ে এত বড় গরু আশেপাশের এলাকায় না থাকায় মানুষের আগ্রহের শেষ নেই । 

রাশিদা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট কইরা বাছুরটিকে বড় করছি। বুট, মাশ কলাই ও মসুরের ছোলা, কুড়া, খৈল, মোটা ভূসি, আলু, ভুট্রা, কাঁচা ঘাস নিয়মিত খায়। এছাড়া কলা, আপেল ও মালটা ট্যাহা অইলেই পেলেই খাওয়াই। দিন-রাইতে ৫-৬ বার খাবার খাওয়ান লাগে। গত চার মাস ধইরা প্রতিদিন  ৬’শ টাকার খাবার লাগতাছে।  দিনে ২-৩ বার গরুটিকে গোসল করাইতে হয়। গরুর পানির জন্য মটর ও বাতাসের জন্য ফ্যান গোয়াল ঘরে লাগাইছি। ঘরে বাইরে আনা নেওয়ার জন্য কয়েক জন মানুষ লাগে।

গরু দেখতে আসা অনেকেই বলেন, বিশাল আকৃতির গরু বানাতে তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। উপযুক্ত দাম পাওয়া উচিত।

কালা মানিকের মালিক মোস্তফা বলেন, বাড়িতে এসে অনেকেই দেখতাছে এবং দাম করতাছে। বাড়িতে বেচা না অইলে ঈদের ২-৩ দিন আগে গরুটি নারায়নগঞ্জে হাটে উডাবো। আশা করি ১১-১২ লাখ ট্যাহায় বেচতে পারমু। তিনি আরো বলেন আমার সন্তানের ল্যাহান গরুটিকে বড় করছি। বেচার ট্যাহা দিয় আমার দুটি ছেলে ভালভাবে পড়ামু, একটি ঘর দিমু এবং আরও কয়েকটি গরু কিনমু।