আইএস জঙ্গি মুতাজের ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯ | ২২৪

জধানীতে নাশকতাসহ সরকার উৎখাতে পরিকল্পনা নিয়ে দেশে এসেছিলেন আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে যাওয়া জঙ্গি মুতাজ আব্দুল মজিদ কফিল উদ্দিন বেপারি ওরফে মুতাজ (৩৩)। পুলিশ জানায় মুতাজ বাংলাদেশে নব্য জেএমবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। বাংলাদেশে মুতাজ আবদুল মজিদের বাড়ি শরীয়তপুরের সখিপুর এলাকায়।

রোববার বিকালে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কাউন্টার টেররজিম ইউনিট। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কাউন্টার টেররজিম ইউনিটের উপ কমিশনার (ডিসি) মহিবুল ইসলাম খান জানান: সৌদি আরব থেকে মুতাজ সিরিয়ায় আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আদালত শুনানি শেষে মুতাজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সিটিটিসি জানায়, গ্রেপ্তার মুতাজ বাংলায় কথা বলতে পারেন না। তিনি ইংরেজি ও আরবিতে কথা বলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নব্য জেএমবির ভাবধারায় বিশ্বাসী বলে স্বীকার করেছে। গত রোববার নব্য জেএমবির কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে উত্তরা এলাকায় বৈঠক করছিল। তারা নব্য জেএমবির মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলেও স্বীকার করেছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আরেকজন কর্মকর্তা জানান: বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ঢাকায় মুতাজের অবস্থান সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলতে থাকে। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, সিরিয়া ফেরত জঙ্গি মুতাজের গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা (নম্বর ৭) দায়ের করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া ওই মামলায় মুতাজ ছাড়াও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে মুতাজের সিরিয়ায় গিয়ে যুদ্ধ করা এবং ঢাকায় এসে সরকার উৎখাতসহ নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে উল্লেখ আছে।

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন: ইরাক-সিরিয়ায় যারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল সেসব বাংলাদেশি ফরেন টেরোরিস্ট ফাইটারদের বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা যাতে দেশে ফিরতে না পারে এজন্য তাদের বিষয়ে ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টগুলোতে তালিকা দেয়া হয়েছে। তারপরেও কেউ যদি দেশে ফেরার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।