ভোলায় ’ঘূণিঝড় ফর্ণী’ কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত-১

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৫৯ এএম, শনিবার, ৪ মে ২০১৯ | ৫৩৬

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরচাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট ও গাছপালা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার(৪মে) ভোর রাতে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

এছাড়া শনিবার ভোর থেকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, মুজিবনগর, লালমোহন উপজেলার কচুয়ালীর চর, মনপুরার কলাতলীর চরসহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ো বাতাস বইছে। এসব এলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অতি জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপকূলবর্তী নিম্মাঞ্চল।

চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান , ঝড়ের প্রভাবে একটি স্কুলসহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে।

লালমোহন উপজেলার কচুয়াখালী চর থেকে জেলে নাছির জানান, শনিবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাইনুদ্দিনে একটি ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ৪-৫ জন আহত হলেও কেউ নিখোঁজ নেই।

ভোলা জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় পর্যন্ত সমগ্র ভোলাতে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০/৮০ কিলোমিটার। এখনও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল আমিন জানান, চরফ্যাশনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ফসল ও গাছপালা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর যাওয়া গেছে। এছারা তেমন বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাতে জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৩৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক ও জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোকতার হোসেন আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা বিধ্বস্ত এলাকার ও নিহত,আহতদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি।