ঘর চোরের উপদ্রব বেড়েঁছে চকরিয়ায়

মালুমঘাটে এক সপ্তাহে ১০টি বাড়ীতে চুরি:আতংকে এলাকাবাসী

এম,জুনাইদ উদ্দীন, চকরিয়া
প্রকাশিত: ০৩:২৭ এএম, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯ | ২৫২

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের (মালুমঘাট)১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগির শাহ কাটা নামক এলাকায় এক সপ্তাহে ১০টি ঘর-বাড়ী চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ফলে চকরিয়া উপজেলা বিভিন্ন ইউপিতে ঘর চোরের উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়,গত ১ এপ্রিল মধ্যরাতে অথ্যাৎ প্রায় ৩টার সময় একই সাথে ৪টি বাড়ী চুরি হয়।চুরেরা ঘরের জানালার দরজা কেটে, পরে রট ভেঙ্গে বাড়ী ঢুকে বাড়ীর প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিষপত্র,নগত টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চুপে-চুপে পালিয়ে যায়।এভাবে গত ২৯মার্চে ৩টি ও ২৪মার্চের মধ্যরাতে ২টি ঘর ও ১টি দোকান চুরি হয়েছে।অন্তত এক সপ্তাহে সাড়ে চার-লক্ষাধিক টাকার মত ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে বাড়ীওয়ালাদের।

চুরি হওয়া বাড়ীওয়ালারা হলেন,ডুলাহাজারার ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহ কাটা এলাকার মৃত মোজাহের আহমদের পুত্র আবু তৈয়ব,মৃত তৈয়ম গোলালের পুত্র মোঃকামাল ও তার মেয়ে মোহছেনা,আবু তাহের।২৯মার্চে একই এলাকার মৃত পরান বসুর পুত্র বদিউল আলম ফকির,ওমান প্রবাসির স্ত্রী ছমুদা বেগম,ও ওমান প্রবাসির স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।২৪মার্চে একই এলাকায় মৃত ছাবের আহমদের পুত্র আহমুদুর  রহমান,মৃত আলতাছ আহমদের পুত্র নুরুল আমিন ও দোকানদার আবু তৈয়ব।

চুরের ক্ষতিগ্রস্হ বাড়ীওয়ালারা জানান,ঘরের জানালার দরজা কেটে,পনে রট কেটে ঢুকে বাড়ীতে থাকা মূল্যবান জিনিষপত্র নগত টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।পরে ঘুম ভাংগলে ঘরের দরজা খোলা দেখে আমরা অভাক হয়ে যায়।তারপর হৈ-চৈ শুরে হলে কয়েটি বাড়ী চুরি হয়েছে জানা জানি হয়।আমাদের সন্দেহ এলাকার লোকজন জড়িত না থাকলে চুরি করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার রফিক উদ্দিন বলেন,চুরির ঘটনা শুনে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি,ঘটনা সত্য।কারা এসব কাজ করছে দ্রুত তদারকি করা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনলে সমস্ত ঘটনার রহস্য বের হবে।তাই বিষয়টি আজই থানায় জানিয়ে,চুর-ধরা বিষয়ে অগ্রসর হব।