ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক তিনদিনের

অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ | ২৩৯

টানা তিনদিনের যানজটে অচল হয়ে যাওয়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এখন স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তির অবসান হয়েছে

টানা তিনদিনের বৃষ্টি ও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। আর বৃষ্টিতে এসব গর্তে জমেছে পানি।

এর সাথে এর সাথে রয়েছে চন্দ্রাতে উড়াল সড়ক, টাঙ্গাইলের পৌংলিতে ব্রীজের কাজ চলমান এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকায় নির্মণাধীন রাস্তার কিছু অংশ দেবে যাওয়া।সঙ্গে মহাসড়কের চারলেনের কাজের খোড়াখুড়িতো আছেই।

শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হয় এ যানজট। দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সন্ধ্যা ছয়টার পর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি যান বিকল হলে আবার যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজট এক পর্যায়ে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের পাকুল্যা পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী হয়। পরে পুলিশ বিকল যানবাহন সরিয়ে নিলে রাত ১২টার দিকে ধীর গতিতে যান চলাচল শুরু হয়।

শনিবার সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। যানজটে আটকা আর বৃষ্টির কারণে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
যানজটে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী ও শিশু যাত্রীরা।

বিকেল থেকে অবস্থা আরো অবনতি হতে থাকে। সন্ধা ছয়টার পর থেকে যানজট আরো বিস্তৃত হতে থাকে। রাতে এই যানজট টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত পৌছে যায়। এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত রাতভর থেমে থেমে যান চলতে থাকে। যানজটের কারনে মির্জাপুরের দেওহাটা থেকে পুষ্টকামুরী চরপাড়া হয়ে যানবাহন চলা শুরু করলেও সেখানেও যানজটের সৃষ্টি হয়।

রোববার থেমে থেমে যানবাহন চললেও। পাঁচ মিনিট চলে আবার দশ মিনিট থেমে থাকে।বিকেল থেকে একদিকে বন্ধ করে আরেক দিকে যানবাহন চলে। গাড়ির চাপ ছিল অত্যাধিক বেশি। মির্জাপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও মির্জাপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ধীর গতিতে যানবাহন চলে।

রাত বারটার দিকে মহাসড়কের উভয়দিকে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল শুরু হলে টানা তিনদিনের অচলাবস্থার অবসান হয়ে ভোগান্তির শেষ হয়।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, অপরিকল্পিত ভাবে মহাসড়কে চারলেন উন্নিতকরণ কাজ শুরু হওয়ায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা মহাসড়কের যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করেছে। সকলের প্রচেষ্টায় ঢাকা – টাঙ্গাইল মহাসড়কে এখন স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।