‘ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের বিতাড়িত করতে সব ব্যবস্থা করেছে সরকার ও সিইসি’

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১৫৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতাড়িত করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বুধবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে জগলুল হায়দার আফ্রিক এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে প্রশাসন, আইন-আদালত, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বাহিনী, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন স্বয়ং কাজ করছে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রার্থীদের জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে৷

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নীলনকশার নির্বাচনে ভোট কারচুপির সংবাদ যেন গণমাধ্যমে না আসে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। মোটসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, একসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ‘মূতির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না, সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন না’- নির্বাচন কমিশন এমন নীতিমালা জারির মাধ্যমে মূলত মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে গলাটিপে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷

‘নির্বাচন কমিশনের এসব বাধানিষেধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করছে, নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনদের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত।’

ঐক্যফ্রন্ট আরও জানায়, নির্বাচনের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর জন্য ফোর জি’র বদলে টু জি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভোট কেন্দ্রে সংঘটিত নানারকম ঘটনার সংবাদ মিডিয়ায় দ্রুত আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

তিনি বলেন, এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের ভরসা এ দেশের জনগণ তথা ভোটারগণ। যারা অতীতে কোনদিন ভুল করেনি, তারা এবারও ভুল করবে না। সব ভয়-শঙ্কাকে জয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষ আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটযুদ্ধে সব আগ্রাসনকে মোকাবিলা করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

‘ঐক্যফ্রন্ট আশা করছে, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, দেশের মালিকানা জনগণ ফিরে পাওয়ার জন্য এবং স্বাধীনতাকে অর্থবহ কার লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গণফোরাম মহাসচিব মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ৷