একযুগ পর ইব্রাহিমের জালিয়াতি ধরলেন এসিল্যান্ড

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮ | ১৯৯

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মা সিএনজি স্টেশনের মালিক মো. ইব্রাহিম মিয়ার জালিয়াতি ও পুকুর চুরির ঘটনা ফাঁস হল একযুগ পর। সরকারি জমি নিজ নামে দেখিয়ে সেই জমেিত মিথ্যে তথ্য দিয়ে সিএনজি স্টেশন স্থাপন এবং ভুমি অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলনের এই ঘটনা মির্জাপুরের সহকারী কমিশনার (ভমি ) মো. আজগর হোসেনের নজরে আসে দীর্ঘ একযুগ পর।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মৌজায় এসএ ৪২৪ নং দাগে ৩.১০ একর অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস সড়ক নির্মাণকালে ওই দাগে ১.৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার।

২০০৭ সালে মহাসড়কের বাইপাস সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে ইব্রাহিম মিয়া ওই দাগে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে থাকা অবশিষ্ট জমির উপর মা সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করেন। ২০১৩ সালে সরকার অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তির সুযোগ দিলে ইব্রাহিম মিয়া ওই দাগে ৯০ শতাংশ জমি অবমুক্তি করেন এবং ২০১৪ সালে ১৫৪ শতাংশ জমি অধিগ্রহনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করেন।

সূত্র জানায়, সরকারের খাস অথবা অর্পিত সম্পত্তিতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ওই জমি লিজ অথবা বন্দোবন্ত পাওয়ার পরই অনুমোদন মেলে। কিন্ত সরকারের ১/১ খতিয়ানভুক্ত অর্পিত ওই সম্পত্তি লিজ বা বন্দোবন্ত ছাড়াই ইব্রাহিম মিয়া ২০০৭ সালে তথ্য গোপন করে সিএনজি স্টেশনের অনুমোদন নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের ওই জমির উপর সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করতে সুচতুর ইব্রাহিম মিয়া অন্য দাগের জমির কাগজ ওই দাগের দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে সিএনজি পাম্পের অনুমোদন হাতিয়ে নেন।

এদিকে সরকারি ওই জমির উপর থাকা সিএনজি পাম্প দেখিয়ে ইব্রাহিম মিয়া ন্যাশনাল ব্যাংক কালিয়াকৈর শাখা ও ব্র্যাক ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখা থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণও গ্রহণ করেছেন বলেও জানা গেছে।

দীর্ঘ একযুগ ধরে চলা অনিয়ম জালিয়াতির মাধ্যম সরকারি টাকা আতœসাত এবং জমি দখলের ঘটনাটি দক্ষতা ও সততার সাথে কর্মরত বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভুমি ) মো. আজগর হোসেনের মাধ্যমে উদঘাটন হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

মির্জাপুরের সহকারী কমিশনার (ভুমি ) মো. আজগর হোসেন বলেন তার অফিসের সকলের সহযোগীতায় এক যুগ পর হলেও এত বড় জালিয়াতির ঘটনা উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মহোদয় শহীদুল ইসলাম ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে এনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক বলেন প্রতারনার বিষয়টি ইতমধ্যেই জেলা প্রশাসক মহোদয় নজরে এনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ।


পিএইচপি/শামসুল ইসলাম সহিদ