ঝিনাইগাতী সীমান্তে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের পায়তারা

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৯৫

জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নওকুচি গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের জমি জবর দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, ওই গ্রামের নারায়ন চন্দ্র বর্মন, উর্মালা রাণী বর্মন, আশামনি রাণী বর্মণ, শুকলাল বর্মন, বজেন্দ্র বর্মন ও রমাকান্ত বর্মন পৈত্রিক রেকডিও সম্পত্তির উপর ঘর বাড়ি নির্মান করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করছে।

গত ১৮সেপ্টেম্বর স্থানীয় কফিল উদ্দিন মন্ডলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি দল বাড়ির সামনের অংশে জায়গায় ফাকা থাকায় সেই জায়গায় জোর পূর্বক খুটি গেড়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ গত২১সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নারায়ন চন্দ্র গংদের সকল কাগজপত্র দেখেন সেই সাথে কফিল উদ্দিন গংদের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে কফিল মন্ডলগংদের তর্কিত জমির উপর থেকে খুটি ও বেড়া সড়িয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাদের জমির বৈধতা হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজ ইউএনও’র দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু কফিল মিয়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইউএনও,র দপ্তরে কোন কাগজপত্র জমা দেওয়া তো দুরের কথা, জোরপূর্বক দখলে নেওয়া ভুমি থেকে খুটি ও বেড়া সড়িয়ে নেয়নি। ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, উল্টো ওই সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

এ ব্যাপারে কফিল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,“আমি তাদের জমি দখল করে নেয়নি। আমার জমিতেই আমি খুটি গেড়ে বাঁশের বেঁড়া দিয়েছি ও তাদের উপর কোন প্রকার হুমকি প্রদর্শন করিনি”। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।