চকরিয়া পূর্ব বড় ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় শোক দিবস উদযাপন

এম.জুনাইদ উদ্দিন, চকরিয়া কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮ | ৪৯০
পূর্ব বড় ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  উদ্যোগে ১৫ আগস্ট  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
 
এতে বঙ্গবন্ধুর আত্মার ও স্বপরিবারে নিহতদের শান্তি কামনায় এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন,  ১ম বার হাফেজ মাওলানা হোছাইন আহমদ ও২য় বার ছাত্র-ছাত্রী ও নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পূর্ব বড় ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম।
 
আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের সভাপতি এনায়েতল করিম চৌধুরী মানিকমিয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব নূরুলআমিন সিকদার , বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,   ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার, সকল আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক মন্ডলী। এর পর পরেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গগবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। 
 
অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস আজ। ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী।
 
১৯৭৫-এর এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্ররোচনায় মানবতার দুশমন, ঘৃণ্য ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
 
কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন প্রাণ হারান তার প্রিয় সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল।
 
ইতিহাসের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সেদিন আরো প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। এ কারণে আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। আলোচনার পরে ,র্যালী, রচনাপ্রতিযোগিতা,বঙ্গবন্ধু শৈশবের উপর উপস্হিত বক্তৃতা,দোয়ামাহফিল,বঙ্গবন্ধুরছবি অংকন প্রভৃতি আয়োজন করা হয়।