জরুরি চিকিৎসা পাচ্ছে না গাজার শিশুরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫০ পিএম, রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ১৮

গাজার শিশুরা পাচ্ছে না জরুরি চিকিৎসা। আহত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বহির্গমনের অনুমতিও দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। খবর বিবিসি।

গাজার নাসের হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের বেডে দুটি ১০ বছর বয়সী শিশু চিকিৎসাধীন। তাদের একজন ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে গলা থেকে নিচ পর্যন্ত প্যারালাইজড, আরেকজনের মস্তিষ্কে টিউমার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর সেখানে প্রায় ১৫ হাজার রোগী আছে, যাদের জরুরি চিকিৎসার জন্য বহির্গমন প্রয়োজন।

আবু সাঈদ হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের একজন। তার পরিবার জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় থাকা অবস্থায় সে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে আসা গুলিতে আহত হয়। গুলিটি তার মেরুদণ্ডের মধ্যে আটকে আছে, ফলে সে এখন প্যারালাইজড। গুরুতর আহত শিশু সাঈদ বলেন, ‘আমার জরুরি অস্ত্রোপচার দরকার, কিন্তু এটা জটিল। উন্নত হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করতে হবে।’ বর্তমানে গাজায় সে মানের চিকিৎসা করার কোনো ব্যবস্থা নেই। দুই বছরের যুদ্ধে এখানকার হাসপাতালগুলো বড় সংকটময় অবস্থায় আছে।

১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির পর গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম গাজা থেকে আহত ও রোগীদের বহির্গমনের জন্য কিছুটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে ৪১ জন রোগী ও ১৪৫ জন পরিচর্যাকারীকে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে করে ইসরায়েলের কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে জর্ডানের হাসপাতালগুলোয় পাঠানো হয়। কিছু রোগী সেখানে চিকিৎসা নিয়েছে।

অসুস্থ ও আহত হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি দ্রুত বহির্গমনের সংখ্যা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলছে, যতক্ষণ না হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলের নিহত বন্দিদের দেহ ফিরিয়ে দেয় ততক্ষণ ক্রসিং বন্ধ রাখা হবে।