শিউলী হত্যা

রিমান্ডকৃত দুই আসামী দ্বিতীয়দিনেও কোন তথ্য দেয়নি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, শনিবার, ১১ আগস্ট ২০১৮ | ৯৩৫

দুস্কৃতিকারীদের কাছ থেকে সম্ভ্রম বাচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগমের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃতেদের মধ্যে দুই আসামী আরিফ মিয়া ও সোহেল রানা রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনেও পুলিশের কাছে কোন তথ্য দেয়নি।তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গত ২৬ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বাস যোগে পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসে আর্তচিৎকারের কিছুক্ষণ পর দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থান থেকে শিউলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।।

ঘটনার ১৫ দিন পর বাসটি আটক এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসের ড্রাইভার রনি শেখ ও তার ছোট ভাই হেলপার সোহেল রানা ওরফে রানা শেখ সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। রনি শেখ ও রানা শেখ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে। শিউলীর সহকর্মী আরিফ মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে।

বাস চালক রনি শেখ টাঙ্গাইলের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া দুই আসামী সোহেল রানা ও আরিফ মিয়া দ্বিতীয় দিনেও পুলিশের কাছে কোন তথ্য দেয়নি। বাসচালকের ভাষ্যমতে এখনো আরিফই ঘটনার মুল নায়ক হিসেবে সিকৃত।

এদিকে আরিফের পরিবারের সদস্যরা আরিফকে নির্দোষ দাবী করে শনিবার সন্ধায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. একাব্বর হোসেনের সয়নাপন্ন হন। তারা আরিফের প্রতি সুবিচারের জন্য এমপির সহযোগীতা কামনা করেন। নিহত শিউলীর চাচী শাশুড়ী আরিফের সহকর্মী সুরাইয়া ও রাশেদা বেগম জানান আরিফ ঘটনার আগেই অন্য একটি বাসে তাদের সাথে গিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুর হক বলেন রিমান্ডকৃত দুই আসামী সোহেল রানা ও আরিফ মিয়ার কাছ থেকে ঘটনার কোন নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলার তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।