ঠাকুরগাঁওয়ে সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা
 
												 
																			ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার (৮ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর ইউনিয়নের পারপুগী গ্রামের খাদেমুল ইসলামের একমাত্র কন্যা মামুনির (২৮) সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের মহেশালী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে হান্নানের (৩৫) সাথে। বিয়ের সময়ই মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে খুশি করার জন্য যা প্রয়োজন তার সবই দেওয়া হয়।
বিয়ের দশ বছর পর ঘরে দুই সন্তান আসার পর থেকে স্বামী হান্নান ওরফে রুপাই নানা কারণে মামুনির উপর অত্যাচার করতে থাকে। সাথে যোগ হয় যৌতুক চাওয়া। হান্নানের সাথে তার পরিবারও মামুনির উপর চড়াও হয়। গত রমজান মাসে ঈদের সাত দিন আগে হান্নান মামুনিকে যৌতুকের দাবিতে ঘর থেকে বের করে দেয়। এসময় মামুনি তার খালাতো ভাই হাবিবুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
দুদিন পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মামুনিকে স্বামীর ঘরে তুলে দেয়। কিন্তু সাতদিন না যেতেই পাষণ্ড স্বামী আবারও অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রাতে হান্নান ছোট্ট ঘটনার জের ধরে মামুনিকে মারধর করে। বুধবার (৮ আগষ্ট) বিকেলে বাড়িতে ফিরে হান্নান লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। রাতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর থেকেই স্বামী হান্নান ও তার পরিবার গা ঢাকা দেয়।
এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) রওশন আরা জানান, নিহতের বা পায়ের দুটি নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন আছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম জানান, ঘটনার পর থেকেই অসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে এবং হান্নানের বোনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
 
                         
 
             
            