মোদিকে জড়িয়ে ধরলেন রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮ | ২৪৭

১৫ বছর পর আবারো ভারতের কোন সরকার অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেন। এখন পর্যন্ত পাওয়া পূর্বাভাষ অনুযায়ী বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে মোদি সরকার। স্থানীয় সময় সকালে অনাস্থা ভোটের ওপর লোকসভায় বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক চলাকালে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী চড়াও হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সরকারের ওপর। তার তীব্র সমালোচনায় লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরেন। যদিও রাহুলের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি নেতারা বলছেন, সংসদ নাটক নয়।

২০০৩ সালে অটল বিহারি বাজপায়ী সরকারের পর শুক্রবার লোকসভায় অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেন ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় সকাল এগারোটায় লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরু হয়।

মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এদিন মোদির তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৈদেশিক নীতি, কালো টাকা বন্ধে মোদির পদক্ষেপসহ সম্প্রতি মোদির নেয়া বিতর্কিত বিভিন্ন সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিনি। এসময় রাহুল বলেন তাকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বোধ বলে মনে করলেও মোদিকে ঘৃণা করেন না তিনি।

বক্তব্যের মাঝে হঠাৎ উঠে গিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীসহ লোকসভার সদস্যরা হকচকিয়ে যায়। ধাতস্ত হয়ে মোদি রাহুলের পিঠ চাপরে দেন। এরপর রাহুল নিজের আসনে ফিরে আসলে কংগ্রেসের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের অনেক এমপি টেবিল চাপরে অভিনন্দন জানান।

যদিও রাহুলের এমন আচরণে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বলেন, এ ধরণের আচরণ সংসদীয় আচরণপন্থী। বিজেপির অনেক নেতা এটিকে শিশুসুলভ আচরণের সঙ্গে তুলনা করেন।

আর আগে, আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বিরোধী দলকে জোর করে অনাস্থা প্রস্তাবে বাধ্য করা হয়েছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে জোটের অন্যতম মিত্র শিবসেনাকে অনাস্থা ভোটে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলেও, ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন তারা, এতে কিছুটা হলেও বিব্রত হতে হয় মোদি সরকারকে।