রাশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকেট পেল ১৩ থাই ফুটবলার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮ | ১৯৭

থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া বা আটকে থাকা খুদে ফুটবলারদের জন্য চমৎকার উপহারের ঘোষণা দিয়েছে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, আগামী রোববার (১৫ জুলাই) মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে দলটির কোচসহ মোট ১৩ জনের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে ১৩টি আসন।আজ মঙ্গলবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ ঘোষণার খবর জানা যায়।

২৩ জুন ট্রেনিং শেষে আর তারা বাড়ি ফেরেনি। এক দিন, দু দিন, তিন...চার....সাত দিন। তাও তারা ফেরেনি। ছোট ছোট ছেলে ১১ থেক ১৬ বছরের উধাও হয়ে গিয়েছিল তারা। গত কয়েকদিন ধরে থাইল্যান্ডের একটা অংশে ভয়াবহ বন্যা। দুসপ্তাহ আগে কোচের সঙ্গে ট্রেনিং শেষে এক গুহায় ঘুরতে গিয়েছিল ১২ জন খুদে ফুটবলার। তার পর বন্যার জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গুহার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আটকে পড়ে কোচসহ বাচ্চাদের সেই ফুটবল দল। সাতদিনের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ তাদের হদিশ পায় উদ্ধারকারী দল। তবে এখনও তাদের সেই গুহা থেকে বের করে আনা যায়নি। দিন-রাত এক করে লড়াই চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। তাদের বিশ্বাস, খুব তাড়াতাড়ি 'ওয়াইল্ড বোরস' নামের সেই দলের ফুটবলারদের উদ্ধার করা যাবে।

থাইল্যান্ডের এই খুদে ফুটবল দলের প্রতিটা সদস্যের বাঁচার লড়াইকে কুর্ণিশ জানাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফান্তিনো সেই দলে রয়েছেন। তিনি সেই খুদে ফুটবলারদের দলটাকে ১৫ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনালে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন। এক বিবৃতিতে ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, ''কিছুদিনের মধ্যে ওরা বাড়ির লোকজনের কাছে ফিরে যাবে। তার পর ওদের শরীরের অবস্থার উপর সব কিছু নির্ভর করছে। যদি শারীরীক দিক থেকে ওরা ফিট থাকে তা হলে মস্কোয় বিশ্বকাপ ফাইনালে ওদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওরা ফিফার অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবে। আশা করব ওদের আমরা সেদিন গ্যালারিতে দেখতে পাব। ১৫ জুলাই ফুটবলের মহাআয়োজন। আমরা চাই, ওরা সেটা সামনে থেকে দেখুক।''

চলতি সপ্তাহেই উদ্ধারকারী দল গুহায় আটকে থাকা বাচ্চাদের কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য ওদের সেখান থেকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধাকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, এখনও বাচ্চাদের গায়ে জার্সি রয়েছে। তারা বাড়ি ফেরার জন্য উতলা হয়ে উঠলেও মানসিক দিক থেকে শান্তই রয়েছে।