২০ শিক্ষার্থীর চুল কাটাসহ নানা অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮ | ১৮৮

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ১০ম শ্রেণির ২০ শিক্ষার্থীর চুলকাটা, কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্যসহ ১০টি অনিয়মের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম বিএসসি নামে এক শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতেও বলা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে সাইফুল ইসলাম বছর তিনেক আগে গনিত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।যোগদানের পর থেকেই অনিয়মিত স্কুলে যাতায়াত এবং প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বাড়ি হওয়ায় সিনিয়র শিক্ষকদের অশ্রদ্ধা ও অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করা তার ছিলো রুটিন মাফিক কাজ।

সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান ও কারিগরি শাখা ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে উঠে আসেন শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। সর্বশেষ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের টিউটোরিয়াল পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে না পারায় আলোচনার ঝড় উঠে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ শিক্ষক সাইফুল ইসলামের ভগ্নিপতি ইউপি সদস্য মজনু মিয়া বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য হওয়ায় ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের কোন রীতি মেনে চলেন না। ভগ্নিপতির দাপটেই মূলত তিনি এসব অপকর্ম চালান। এদিকে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের ৮ই জুনের ১০ নং সভায় তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ২৩ শে জুন ওইসব অনিয়মের কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয় এবং ৭ দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ সত্য নয়। সমাজে চলতে গেলে ত্রুটি থাকতে পারে। আমি তা দূর করবো। প্রধান শিক্ষক খঃমোহাম্মদ আলী অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যা কুরা হয়েছে বিদ্যালেয়ের স্বার্থের জন্যই করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহিনুল ইসলাম বলেন, গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক সাইফুল ইসলামের প্রাইভেট বাণিজ্য, নানা অনিয়ম ও চুলকাটার বিষয়ে অবগত নই। তবে এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।