বিকশিত হোক শিশু-শারিরীক সুস্থতায়, মানসিক পূর্ণতায়

ডা. রিজওয়ানুল আহসান বিপুল
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৯৮৫

সুস্বাস্থ্য বলতে আমরা বুঝি শারিরীক এবং মানসিক বিকাশের পরিপূর্ন বহিঃ প্রকাশ। দেহের স্বাভাবিক শারিরীক এবং মানসিক অবকাঠামো বজায় রাখার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য যেমন দরকার তেমনি দরকার খেলাধুলা।

ছোট বেলায় আমরা ফুটবল, সাতার গোল্লাছুট, চোর-পুলিশ খুব মজার মজার খেলা খেলতাম।

মডার্ন সিভিলাইজেশণের যুগে কালের বিবর্তনে সেই খেলা গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। যান্ত্রিক এই শহরে শিশুরা পর্যাপ্ত খেলার মাঠ পায়না। অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ভিডিও গেমস, মোবাইল, ট্যাব এবং টেলিভিশনের কার্টুন। এসব উপকরন যে শিশুর শারিরীক ও মানসিক বিকাশে বাধার সৃষ্টি করে তার সর্ম্পকে একটু আলোক পাতের চেষ্টা করছি।

মোবাইল, টেলিভিশনের র্কাটুন, ভিডিও- গেমস, শিশুর শারীরিক এবং মানসিক কার্যকারিতা নষ্ট করে, শিশু-শুয়ে শুয়ে এই গেমস গুলো খেলার কারনে স্থুলকায় হয়ে পড়ে। যা বর্তমানে সারাবিশে^র একটা প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত।স্থুলকায় বাচ্চাাদের ভবিষ্যতে স্ট্রোক,ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এদের চিন্তাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্ত¡া ও অন্যান্য স্বাভাবিক বাচ্চাাদের চেয়ে কম থাকে।

এসব গেমস্ এর কারনে শিশু আশে পাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনা। সবার সাথে মিশতে জড়তা বোধ করে। এসব শিশুরা নিজেরাই নিজের একটা নিজস্ব জগত গড়ে তুলে। যেটা থেকে অটিজম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শিশুর বয়ঃসন্ধির সময় তার প্রধান বন্ধুত্ব হওয়া উচিত বাবা মার সাথে। কিন্তু‘ আমরা আমাদের শিশুদের কতটুকু সময় দেই। এই অবস্থায় তার কোন সমস্যা সে কারো সাথে শেয়ার করতে পারেনা এবং আরো গুরুত্ত¦ পূর্ন বিষয় হচ্ছে আস্তে আস্তে দীর্ঘ মেয়াদি সময় ধরে সে একাকিত্বে ভুগতে থাকে যাকে আমরা বিষন্নতা,ব্যাধি বলি।

এসব কিশোর কিশোরিদের সুইসাইডাল টেনডেন্সি অনেক বেড়ে যায় সুতরাং বাবা মা এবং অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা আপনাদের শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দেবেন। মোবাইল ভিডিও গেমস এসব খেলনা দেয়া উচিৎ নয়। আশে পাশের সামাজিক পরিবেশের সাথে পরিচিত করাবেন। মনে রাখবেন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ শিশু পরিবার তথা দেশ ও জাতীর ভবিষ্যৎ।