বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কালিহাতীর কৃষকদের

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, শুক্রবার, ২০ এপ্রিল ২০১৮ | ৫৩৯

বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা টাঙ্গাইলের কালিহাতীর কৃষকদের। উপজেলার যেদিকে তাকানো হয় সেদিকেই বোরো ধানের দিগন্ত বিস্মৃত সবুজের সমারোহ। বিগতদিনে কয়েক দফায় বন্যার কারনে আমনের ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছিল, সে ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে এবার অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোরো ধান চাষ করেছেন কালিহাতীর কৃষকরা।

ধান গাছের তেজদীপ্ততা দেখে কৃষকদের চোখে মুখে আশার আলো ফুটে উঠেছে। ধান খুব ভালো হওয়ায় সস্তি ফিরে পেয়েছে তারা। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকায় এবং সার, ডিজেল, পানি ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরন সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় কৃষকরা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

উপজেলার বল্লা, সহদেবপুর, নাগবাড়ী, পারখী, সিলিমপুর, বর্তা, পাথালিয়া, ব্রজগাতী, রামপুর এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ধান খুব ভালো হয়েছে। উপজেলার ব্রজগাতী গ্রামের কৃষক আ: বাছেদ বলেন, আমন ধান নষ্ট হওয়াতে এবার অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আশা করি ফলন খুব ভালো হবে।

গো-খাদ্যের অভাবও থাকবে না। বর্তা গ্রামের কৃষক অঞ্জন মজুমদার বলেন, বন্যার কারনে আমন আবাদে লোকশানের মুখে পড়ায় অন্যফসল আবাদের চিন্তা করেছিলাম কিন্তু ধান ও খড়ের অভাবে সিধান্ত পরিবর্তন করি। তাই বেশিরভাগ জমিতেই বোরো আবাদ করেছি। ধানের চেহারা দেখে মন ভরে গেছে। যদি বড় ধরনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টি না হয় তাহলে আশানুরুপ ফল পাবো এটা আমার বিশ্বাস। ১০/১৫ দিনের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারবো।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এএম শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫শ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও এ মৌসুমে তা ছাড়িয়ে ১৮ হাজার ৪শ ২ হেক্টরে এসেছে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৪ শ ৪৫ হেক্টর কিন্তু তা অতিক্রম করে ১৭ হাজার ৮ শ ৯০ হেক্টরে গিয়ে পৌছিয়েছিল।

এবছর সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা যেমন বীজ, সার ও কীটনাশক যথা সময়ে কৃষকদের হাতের নাগালে পাওয়ার উৎপাদন লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সুযোগ রয়ে