সন্তোষ বাগবাড়ী হেলাল খানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, সোমবার, ২ এপ্রিল ২০১৮ | ২৩৭

টাঙ্গাইলে সন্তোষ পীর শাহ জামান বাজার কমিটি উপদেষ্টা বাগবাড়ী হেলাল খানের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে টাঙ্গাইল সদর সন্তোষ বাজারের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সন্তোষ পীর শাহ জামান বাজার কমিটি ও এলাকাবাসি।

এতে বক্তব্য রাখেন সন্তোষ পীর শাহ জামান বাজার কমিটির সভাপতি শ্রী প্রদিপ ঘোষ, সাধারন সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, সরকারী এম, এম, আলী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আজিম উদ্দিন বিপ্লব, বাজার কমিটির উপদেষ্টা আফজাল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, বাদশা মিয়া, আব্দুর সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন খান, সদস্য ইকবাল হোসেন, বাবুল খান প্রমুখ। এসময় মানববন্ধনে প্রায় ৫শতাধীক সন্তোষ পীর শাহ জামান বাজার কমিটি ও এলাকা বাসি অংশ নেয়।

উল্লেখ, গতকাল রোববার টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় ৭নং ওয়ার্ডের সন্তোষে পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের বাগবাড়ীর হেলাল খান আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। রোববার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এ হামলায় গুরুতর আহত হেলাল টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত হেলাল খানের ভাতিজা তুহিন খান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আহত হেলাল খানের ভাতিজা জোবায়ের রহমান জানান, সন্তোষ বাগবাড়ী গ্রামের আনিছুর রহমান খান (৩২) টাঙ্গাইলের এক প্রভাবশালী পরিবারের সন্ত্রাসী। ওই পরিবারের প্রভাবে সে দীর্ঘদিন ধরে সন্তোষ বাজারের দোকানের পজিশন নিয়ে বিরোধ চালিয়ে আসছিল।

এ বিরোধের জের ধরে রোববার সকালে হেলাল খান সন্তোষ বাজারে গেলে আনিছুর রহমান খান (৩২) ও তার ৫/৬জন সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেলাল খানের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হেলাল খানের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হেলাল খানকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনায় জড়িত আনিছুর রহমান খান হামলার কথা স্বীকার করে জানান, সন্তোষ বাজার সম্মুখের সড়ক ও জনপথের জমির উপর অস্থায়ীভিত্তিতে একটি দোকান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। একই সাথে ওই জমির উপর বাজার কমিটির অফিস ঘর তৈরির পরিকল্পনা জানিয়ে দোকান করতে নিষেধ করেন হেলাল খান। তবে জমিটি সড়ক ও জনপথের হওয়ার কারণে হেলাল খানের নিষেধ অমান্য করে রোববার সকালে ওই স্থানে দোকান নির্মাণ করতে যান তিনি। তবে দোকান নির্মাণে বাধা দেন হেলাল খান।

এ স্বত্তেও তার নিষেধ অমান্য করে দোকান তৈরির চেষ্টা চালানোর কারণে হেলাল খান আমাকে গালিগালাজ করাসহ আমার পক্ষের উপস্থিত ব্যক্তিদের লাথি ও ঘুষি মারেন। এ সময় বাধ্য হয়ে আমরাও হেলাল খানকে মারধর করি বলেও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, হেলাল খানের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দ্রুতই এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।