বগুড়ায় এক প্র‌তিব‌ন্ধী কি‌শোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

খা‌লিদ হাসান,বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮ | ১৮৫
বগুড়ায় মু‌খে গামছা বে‌ধে প্র‌তিব‌ন্ধী কি‌শোরী কে ধর্ষণ করলো লম্পট প্র‌তি‌বেশী। মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে গিয়েছিলেন দরিদ্র বাবাসহ পরিবারের লোকজন। সুযোগ বুঝে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী এক লম্পট।
 
গ্রাম্য সালিশে ধর্ষিতার ইজ্জতের মূল্য হিসেবে এক লাখ টাকা লম্পট ধর্ষকের জরিমানা করে গ্রাম্য মোড়লরা। রাতের আধাঁরে ওই ধর্ষিতার পরিবারকে জোর করে আপোসের চেষ্টা ও থানায় অভিযোগ করতে বাঁধা দিচ্ছে মাতব্বররা। 
 
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বিশালপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। প্রায় ১৮ দিন ধরেই ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গ্রাম্য মোড়লরা। 
 
ধর্ষিতার পরিবার বলছে, বিশালপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে গত ১০ মার্চ বিকেলে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে রেখে বাবাসহ বাড়ির সবাই অন্যের জমিতে কাজ করতে যান।
 
এই সুযোগে প্রতিবেশী মৃত নিতাই চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে দীগেন চন্দ্র প্রামাণিক (৬৫) বড়িতে ঢুকে প্রতিবন্ধী কিশোরীর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে জেরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির বাবা হঠাৎ বাড়িতে এলে লম্পট ধর্ষক টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতার বাবা-মা বিষয়টি এলাকার মাতব্বরদের জানালে তারা বিষয়টি গ্রাম্যভাবে মীমাংসা করে দেবেন বলে থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করেন।
 
ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ঘটনার ১৫দিন পর ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ নিয়ে থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে গত ২৬ মার্চ রাতে ভুক্তভোগী পরিবারকে ডেকে এলাকার মাতব্বররা গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগী গরিব বাকপ্রতিবন্ধী ধর্ষিতার পরিবারকে নামমাত্র টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পিতা। তিনি বলেন, এলাকার মাতব্বর নিরাঞ্জন, দীপক চন্দ্র, প্রাণ কুমার, পরিতোশ, প্রকাশ চন্দ্র, শম্ভু, চান কুমার ও সুরেশ চন্দ্র বিভিন্নভাবে আমাকে চাপ প্রয়োগ করে থানায় অভিযোগ দিতে দেয়নি এবং গত ২৬ মার্চ রাতে বৈঠক করে ধর্ষক দীগেনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে এই টাকা এখনো আমি নেইনি।
 
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপ্লব কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 
এপ্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।অ‌ভি‌যোগ পে‌লে ব্যবস্থা নি‌বো।