ঝিনাইগাতীতে প্রেমের জন্য খুন হলো কলেজ ছাত্র

মুহাম্মদ আবু হেলাল
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, শনিবার, ১০ মার্চ ২০১৮ | ২০৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রেমের জন্য প্রেমিকার পরিবারের হাতে খুন হতে হলো কলেজ ছাত্র চাঁন মিয়া(১৮)কে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে। উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গুমড়া গ্রামে।

নিহত চাঁন মিয়া গুমড়া গ্রামের আছমত আলীর ছেলে। চাঁন মিয়ার পরিবার, এলাকাবাসী ও প্রেমিকা মুক্তার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মুক্তার সাথে গত প্রায় তিন বছর পূর্বে গভীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তাদের এ প্রেমের সর্ম্পকটি প্রেমিকা মুক্তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি।

এ ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে মুক্তার পরিবারের লোকজন জরুরী কথা বলার জন্য চাঁন মিয়াকে মুক্তাদের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করা মাত্রই চাঁন মিয়াকে আকস্মিক ভাবে মারধর শুরু করলে, চাঁন মিয়াকে বাচাঁতে মুক্তা এগিয়ে আসে।

এমতা বস্থায় মুক্তার বাবা-মা মুক্তাকে হাত বেধে অন্য ঘরে বেধে রেখে চাঁন মিয়ার উপর আক্রমন করতে থাকে।

তখন মুক্তা অনেক কষ্টে তার হাতের বাধন ছিড়ে ফেলে চাঁন মিয়ার পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চাঁন মিয়ার পরিবার এসে দেখে চাঁন মিয়ার নিথর দেহটি মুক্তাদের ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।

এ অবস্থায় প্রেমিকা মুক্তা ও চাঁন মিয়ার পরিবারের লোকজন রাত ১.৩০ মিনিটের সময় ঝিনাইগাতী হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাঁন মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন। প্রেমিকা মুক্তা প্রেমিক চাঁন মিয়ার মৃত দেহকে জড়িয়ে ধরে সারা রাত ব্যাপী বিলাপ করছে। চাঁন মিয়ার এ মৃতে্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা প্রেমিকা মুক্তা।

এ সংবাদ হাসপাতাল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে এ ঘটনার মূল নায়ক মুক্তার ভাই রিয়াজুল ইসলাম হৃদয়কে আটক করে। এ নির্মম দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে শত শত লোক ভীড় জমায়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের বাবা আছমত আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।