খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ১৮২

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছে দলটি। নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের নিচতলায় শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, রফিক সিকদার, মর্তুজা চৌধুরী তুলা, মুক্তিযাদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহম্মেদ, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সরদার মো. নূরুজ্জামান, কাজী মোক্তার, মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দলসহ ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি চলবে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এ গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে।

কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রোববার সারাদেশের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আর ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর ছাড়া দেশব্যাপী জেলা সদর ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি।

এ ছাড়া রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি সমাবেশের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সমাবেশের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

অন্যদিকে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে বরাবরের মতো বিএনপি প্রভাতফেরিতে অংশ নেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরনো ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

একই মামলায় বিএনপি প্রধানের ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায়ের পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। নির্জন এই কারাগারে একমাত্র বন্দী হিসেবে আছেন তিনি।