থাইরয়েডে কী খাওয়া যাবে,কী যাবে না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৯ পিএম, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২৭৫

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, সরিষা শাক, মুলা, শজনে জাতীয় খাবারকে গয়েট্রিজেনিক ফুড বলা হয়। এসব খাবারে উপস্থিত গয়েট্রিজেন নামের উপাদান আয়োডিনের শোষণকে প্রভাবিত করে ও গলগণ্ড বাড়াতে পারে। তবে এগুলো পরিমিত বা অল্প পরিমাণে খেলে এবং ভালো করে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।

১. এছাড়া চা-কফির ক্যাফেইন হৃৎস্পন্দনকে প্রভাবিত করে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

৩.হাইপো ও হাইপারথাইরয়েড—এ দুটিতেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। তাই বেশি সোডিয়ামযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার না খাওয়া ভালো।

৪.হাইপোথাইরয়েড রোগীদের রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। তাই তেল-চর্বি কমাতে হবে।

হাইপারথাইরয়েডিজমে কী খাবেন না

হাইপারথাইরয়েডিজমে আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন সামুদ্রিক মাছ, ডিম, সামুদ্রিক স্পিরুলিনা, আয়োডিনযুক্ত লবণ ইত্যাদি কম খাওয়া ভালো।

হাইপোথাইরয়েডিজমে কী খাবেন

১.আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন আয়োডিনযুক্ত লবণ, দুধ, ছানা, পনির, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, সামুদ্রিক স্পিরুলিনাসহ সব সামুদ্রিক খাবার খেতে পারেন।

২.ডিম, মুরগি, ওটমিল, বাদাম, টুনা মাছ ইত্যাদিতে সেলেনিয়াম আছে। থাইরয়েড হরমোন সক্রিয় করতে সেলেনিয়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৩.থাইরয়েড হরমোন সক্রিয় রাখতে জিংকও গুরুত্বপূর্ণ। এটি টিএসএইচ হরমোন নিঃসরণ প্রভাবিত করে। জিংকের অভাবে থাইরয়েডের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। চিংড়ি, গরু-খাসির মাংস, মুরগির মাংস, কাঁকড়া, ঝিনুক, মিষ্টিকুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ জিংকের ভালো উৎস।