মির্জাপুরে সরকারী রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ | ৪১৫
টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের বানিয়ারা গ্রামে সরকারী রাস্তা দখল করে প্রাচীর ও ভবন নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে খন্দকার রেজাউল করিম খসরু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
 
ইতিমধ্যে প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধের বিষয়ে জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর লিখিত আবেদন ও মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সৈয়দ মাহমুদুল হাসান নামেও এক ব্যক্তি । জিডি নং-৯৮৫।
 
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আমার পৈত্তিক সূত্রে প্রাপ্ত নিম্ন তফসীল বর্ণিত বসত বাড়ির বিভিন্ন দাগের ১৫৪ শতাংশ জমি নিয়া বিবাদীর সহিত বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত জমিতে আমার ভাইসহ আমি আমাদের সন্তানদের নিয়ে বসত বাড়ি তৈরি করিয়া বসবাস করিয়া আসিতেছি। ১নং বিবাদী তাহার বাহামভুক্ত অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী শ্রেনীর লোকজন দিয়া বিভিন্ন সময়ে আমার দখলিয় উক্ত জমি বেদখলের পায়তারা করিয়া আসিতেছে। ১নং বিবাদী আমার জায়গাতে জোর পূর্বক ওয়াল করে দখলের চেষ্টা করিলে আমি বাধা দিতে গেলে বিবাদী আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় মির্জাপুর থানাধীন বানিয়ারা সাকিনন্থ আমার বাড়ি আঙ্গিনা পরিমাপ ছাড়াই ১নং বিবাদী মোবাইলে যোগাযোগ করিয়া তাহার বাহামভুক্ত অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী লোকজন দিয়া জোরপূর্বক আমার অনুপস্থিতিতে পিলার দিয়া আমার জমিসহ বাউন্ডারীর কাজ শুরু করে।
 
এলাকাবাসীরা জানান, তাদের নিজেদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় বাউন্ডারি নির্মাণ করছে সে জায়গাই তাদের কারও না। অনেক আগে এখান দিয়েই মুল এলজিইডির রাস্তা ছিল, এখনও নকশায় পুরো ১৪ ফিট রাস্তা রয়েছে। রাস্তা এখন সামনের দিকে চলে আসছে আর সে জায়গা বসতবাড়ির ভিতরে পরেছে। তাছাড়া আশেপাশে আরও খাস জায়গায় রয়েছে। 
 
এ বিষয়ে সৈয়দ মাহমুদুল হাসান জানান, আমার বিভিন্ন দাগের ১৫৪ শতাংশ জায়গা আমাদের। আমার চাচা খন্দকার রেজাউল করিম খসরু সহ তার বড় ভাইয়ের ১৯ শতাংশ জায়গা পিছনে। তারা সামনের দিকে আমাদের জমির উপর জোরপূর্বক ভাবে বসবাস করছে এবং আমার জমির পাশে বাউন্ডারীর তৈরি করে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করছেন। আমি কাজে বাধা দেওয়া নানা ভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি এবং জমি পরিমাপের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আবেদন করেছিলাম তার প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ দিয়েছে। 
 
এ বিষয়ে খন্দকার রেজাউল করিম খসরুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে  তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহন জানান,তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে অনেক দিন ধরে। এনিয়ে সামাজিকভাবে বসাও হয়েছে। যে জায়গায়কে বাউন্ডারীর করা হচ্ছিল মুলুত সে  জায়গাটা এলজিইডির। ১৪ ফুট রাস্তা ছিল নকশায় এখনও তাই আছে। তবে আমরা শুনেছি অনেক আগে পরিবার এখন যে মেইন রাস্তা আছে সেখান তাদের জমি ছিল রাস্তা সোজা করার জন্য এওয়াজ বদল করেছিলেন। তবে কোন কাগজপত্র আছে কিনা তা আমার জানা নাই।