গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল


হামাসের সঙ্গে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কারণে গাজায় সমস্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রণীত সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব হামাস এখনো গ্রহণ করেনি। খবর বিবিসি।
হামাসের এক মুখপাত্র ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা ইসরায়েলকে সহায়তা প্রবেশ পুনরায় চালু করতে বাধ্য করে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি চায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যাওয়া হোক, যেখানে বন্দি বিনিময় এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে হামাস জানায়, মার্কিন, কাতারি এবং মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাড়াতে রাজি নয়।
হামাসের মুখপাত্র বলেন, গাজায় সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করার নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত আবারও ইসরায়েলি দখলদারিত্বের নির্মম চেহারা প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দিতে হবে, যাতে তারা আমাদের জনগণকে অনাহারে রাখা বন্ধ করে।
গতরাতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে, যেখানে মুসলমানদের রমজান এবং ইহুদিদের পাসওভার উৎসব চলাকালীন প্রায় ছয় সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। যদি এই সময়ের শেষে আলোচনা অচলাবস্থায় পৌঁছায়, তবে ইসরায়েল যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার অধিকার রাখবে।
মার্কিন দূত উইটকফ তার প্রস্তাব প্রকাশ করেননি। তবে ইসরায়েল বলেছে, এতে প্রথম ধাপে জীবিত ও মৃত মিলে অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাস ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করলে ইসরায়েল সঙ্গে সঙ্গে নতুন আলোচনায় বসবে।