টাঙ্গাইলে এসপির কাছে নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ১১ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪০৬

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের কাছে হত্যা, ধর্ষণ, চাদাবাজি, মাদক কারবারি বন্ধসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত দাবি জানান তারা। 

এর আগে সারাদেশে চলমান নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শহীদ মিনারে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। এসব কর্মসূচিতে সমাজকর্মী মুঈদ হাসান তড়িৎ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফাতেমা রহমান বিথী, শিক্ষার্থী তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল, প্রেমা সরকার প্রমুখ।

এ ছাড়াও গত ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি এই মঞ্চ দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ২৫ ফেব্রুয়ারী মার্চ ফর জাস্টিস এবং সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে। 

অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল ১১ দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে পুলিশ সুপার বরাবর উক্ত দাবির কাগজ জমা দেন। 

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আশ্বাস দেন তারা সকল দাবি পূরনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। 

ফাতেমা রহমান বীথি জানান, আমরা টাঙ্গাইলের জনগণ নিরাপত্তা চাই।অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ হবে নিরাপদ, বৈষম্যহীন,ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ এবং সেটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, প্রশাসনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র ব্যর্থ হলে ছাত্র-জনতা আবারও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজপথে নেমে আসবে।

দাবি গুলো হচ্ছে, টাঙ্গাইলের জনগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মারুফ হত্যার সাথে জড়িত পুলিশদের চিহ্নিত করে শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই আন্দোলনে যে সব পুলিশ গুলি চালিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। টাঙ্গাইলের সকল নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করে জনসম্মুখে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। টাঙ্গাইলে সকল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন সেল গঠন করতে হবে এবং এই সেলের দ্বায়িত্ব একজন নারী পুলিশের উপর ন্যাস্ত করতে হবে। টাঙ্গাইলের যে সকল এলাকা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য চিহ্নিত সে সকল এলাকায় পুলিশি টহল বাড়াতে হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল এলাকা সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে। মাদক, চাঁদাবাজি, দখলদারি, ঘুষ, দূর্নীতি বন্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্টের পর যত গুলো মামলা এজাহার ভুক্ত হয়েছে, সে সকল মামলার চিহ্নিত প্রকৃত দোষীদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। মামলা বানিজ্য কারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। টাঙ্গাইলে যেন মব জাস্টিস না হয় বা জনগণ আইন হাতে তুলে না নেয় সেজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।