সেতু মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার যানবাহনের ধীরগতি
যানবাহন বিকল, সড়ক দুর্ঘটনা ও টানা ভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়। এই মহাসড়কে যানবাহনগুলো থেমে থেকে চলছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মহাসড়কে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কে যাতায়াতরত যানবাহন চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে বিকাল চারটার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ নান্নু খান জানান, মধ্যরাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কালিহাতীর শোলাকুড়ি বিজ্র এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক সড়ক থেকে সরাতে কিছুটা সময় লাগায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পরপর আরও দুই থেকে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে যায়। অপরদিকে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। এসব কারণে মহাসড়কে যানবাহন আটকে পরে এবং যানবাহনের দীর্ঘ সারি হয়।
এ সময় মহাসড়কের পুংলি এলাকা থেকে যমুনা সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করে। মাঝেমধ্যে গাড়ি সামনের দিকে এগিয়ে গেলেও আবার থেমে যায়। এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। সরিয়ে নিলে সড়ক স্বাভাবিক হচ্ছিল।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ নান্নু খান আরও জানান, ভোর সকাল থেকে এই মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। বিকাল চারটার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে।