টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের বাহারি ‘পিঠা উৎসব’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | ৭৮

বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনব্যাপী শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসবে স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে বাঙালি ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠার সমাহার। পিঠা উৎসবে হৈহুল্লার এবং আড্ডা মেতে উঠেন অনেকেই। আশপাশের সাধারণ মানুষ এই উৎসব উপভোগ করেন। পিঠা ছাড়াও হস্তশিল্পসহ নানা সামগ্রী মেলায় বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার দুপুর থেকে শহরের টাঙ্গাইল ক্লাব প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে তিনব্যাপী পিঠা উৎসসের আয়োজন করা হয়েছে।

দুপুরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার।

মেলায় শুধু পিঠা নয় নারীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী স্থান পেয়েছে। পিঠা উৎসবে জামাই পিঠা, বুটের হালুয়া, মুখশালা পিঠা, লাচ্ছি বড়া, পাটিসাপটা পিঠা, নকশি পিঠা, ডিমের পাকড়া, ডিম পিঠা, মাংস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব নানা রকম পিঠা। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব।

নারী উদ্যোক্তা আশা আক্তার বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে বসেছে। সকল পিঠা আমরা বাসায় নিজের হাতে তৈরি করেছি। ঝাল এবং মিষ্টি সব ধরনের পিঠা আমাদের কাছে পাওয়া যাবে। আয়োজকদের কাছে দাবি প্রতি বছর যাতে এ ধরনের পিঠার আয়োজন করা হয়।

ক্রেতা সুমাইয়া আক্তার বলেন, শীতের সময় গ্রাম বাংলা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। প্রতি বছরই এমন আয়োজন হলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুঁটে উঠবে। সব সময়ই যদি এমন আয়োজন করা হয় তাহলে আবারো হারানো সেই পিঠাপুলির উৎসবে ফিরে পাবো।

টাঙ্গাইল উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক জেরিন মাহমুদ শম বলেন, হারিয়ে যাওয়া বাঙালীর পিঠা পুলির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠাই এখানে পাওয়া যাচ্ছে। শুরুতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করা হবে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হবে। এতে আরও জেলার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসের পক্ষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।