টাঙ্গাইলে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭০
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী ছোট মনিরের গোপালপুরের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ও এই ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
 
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম বলেন, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের নেতাকর্মীরা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছোট মনিরের ছবি ছিঁড়ে ফেলাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও টাকা লুট করে নেয়।
 
তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, অতর্কিত হামলা চলাকাল সেখানে অবস্থানরত নৌকার কর্মী-সমর্থক ৪-৫ জনকে বেধড়ক মারধর করে। এই নেক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের স-হসভাপতি একামত আলী সরকার, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি আয়েশা আক্তার শিখা, জেলা তাঁতী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম চাঁন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মুকুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। 
 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  গতকাল মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর কর্মী সমর্থিতরা উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলা, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কেন্দ্র খরচের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
 
এ নিয়ে ওইদিন রাতে ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।